কাঁচা হলুদ শরীরের জন্য খুব ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
ভাজাভুজি, চটপটা খাবার খেতে কে না ভালবাসে! ঘি, মাখন এ সব ছাড়া যেন মুখেই রোচে না খাবার। কিন্তু এই তেলে মাখামাখি, ঘি জবজবে খাবার যে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, তা সকলেই জানেন। তার উপর আজকালকার দিনে ঘরে ঘরে ডায়াবিটিস। যে কোনও রোগকে ডেকে আনতে ডায়াবিটিসের জুড়ি নেই। রক্তে বেশি শর্করা জমলেই একের পর এক অঙ্গ অকেজো হতে শুরু করে। তাই প্রথম থেকেই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।
ডায়াবিটিসের সমস্যাকে কখনওই পুরোপুরি ভাবে নিরাময় করা সম্ভব হয় না। ডায়াবিটিস এমন একটি রোগ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অসুস্থতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ডায়াবিটিস মানেই ভয়, এই বুঝি রক্তে শর্করা বেড়ে গেল। আয়ুর্বেদে বলে, ডায়াবিটিস বা মধুমেহকে নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁচা হলুদ হল মহৌষধ। রোজ সকালে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেলে রক্তে শর্করা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ভারতীয় আয়ুর্বেদে শুধু নয়, ইউনিভার্সিটি অফ নিউক্যাসলের নিউট্রাসিউটিক্যাল রিসার্চ গ্রুপের বিজ্ঞানীরাও তাঁদের গবেষণায় দাবি করেছেন, হলুদ খেলে কমতে পারে টাইপ টু ডায়াবিটিস। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে বড় ভূমিকা নেয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, রোজ সকালে এক টুকরো কাঁচা হলুদ, আখের গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খান। এতে রক্তে শর্করা যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনই ক্যানসারের ঝুঁকিও কমবে।
কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা সমান ভাবে নিয়ে দু’কাপ জলে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে নিন। পরদিন সকালে খেতে হবে। এতেও ভাল কাজ হয়।
হলুদের কারকিউমিন যৌগ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত সকালে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেলে হজমশক্তি বাড়ে। খাদ্যনালীর যে কোনও সংক্রমণ ঠেকাতে পারে হলুদ। পাশাপাশি বদহজম, পেটের গোলমালও সারাতে পারে। ডায়াবিটিসের কারণে আরও অনেক রকম অসুস্থতা দেখা দিতে থাকে। সে সবের মোকাবিলাও করে পারে হলুদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy