নায়িকাদের রোজনামচা। ছবি: সংগৃহীত।
পছন্দের তারকার অন্দরমহলে ঢুকতে এখন আর অনুমতি প্রয়োজন হয় না। তাঁরা কখন কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন— সমাজমাধ্যমের দৌলতে সব কিছুই এখন সাধারণ মানুষ, অনুরাগীদের নখদর্পণে। শুধু তাঁদের অভিনয় নয়, সাজগোজ থেকে শরীরচর্চা সব কিছু দেখেই সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণিত হন। সারা দিন নানা ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেদের শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন প্রায় সকলেই। সেই সব ছবি, ভিডিয়ো প্রায়শই সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করে। তবে শুধু শরীরচর্চা নয়, শরীরকে মেদহীন রাখতে কড়া ডায়েটও মেনে চলেন তাঁরা। ডায়েট বললেই অনেকে মনে করেন অর্ধেক খাবার বাদ। নায়িকাদের ব্যক্তিগত পুষ্টিবিদেরা কিন্তু তেমনটা বলেন না। খাবারের সমস্ত উপাদান যেন শরীরে পৌঁছয় সেই বিষয়টি যেমন গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, কী খাচ্ছেন কখন খাচ্ছেন এবং কতটা পরিমাণ খাচ্ছেন, এই বিষয়টিও মাথায় রাখা প্রয়োজন।
১) অল্প অল্প করে সারা দিন খাওয়া
দুপুরে রসিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তারকাদের একেবারেই নেই। তাঁরা দিন শুরু করেন অনেকটা তাড়াতাড়ি। বিপাকহার ভাল রাখতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দু’ঘণ্টা অন্তর অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করেছেন তাঁরা। ওজন ঝরাতে বিশেষ এই টোটকা কিন্তু কার্যকরী।
২) ডিটক্স ওয়াটার মাস্ট
কাজে থাকুন বা ছুটির মেজাজে, প্রায় প্রত্যেক নায়ক-নায়িকাই সকাল শুরু করেন ডিটক্স পানীয়ে চুমুক দিয়ে। তা সে ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস এবং মধু হোক বা অ্যালোভেরার রস— এই নিয়ম মেনে দিন শুরু করলে বিপাকহারে গতি আসে। মেদ ঝরানো সহজ হয়।
৩) সকালের জলখাবার যেন বাদ না পড়ে
যত তাড়া থাকুক, সকালের জলখাবারে কোনও কার্পণ্য করেন না নায়িকারা। তবে লুচি, কালোজিরে দিয়ে সাদা আলুর তরকারি নয়, ওট্স, কাঠবাদামের দুধ, হোলগ্রেন পাউরুটি দিয়ে টোস্ট এবং ডিমের সাদা অংশ, খেজুর, বিভিন্ন রকম বাদাম, বীজ এবং ফল দিয়ে সকালের খাওয়া সারেন অভিনেতারা।
৪) জলখাবার এবং মধ্যাহ্নভোজের মাঝে
সকালের জলখাবার এবং দুপুরের খাবারের মাঝে অনেকটা ব্যবধান থাকাও খারাপ। অল্প খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঝে ডাবের জল, যে কোনও একটা ফল, এক মুঠো বাদাম খেয়ে নেন তাঁরা।
৫) মধ্যাহ্নভোজ
কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে টাটকা শাকসব্জি, মুরগির মাংস বা মাছ, ডাল, ইয়োগার্ট খাওয়ার চেষ্টা করেন নায়িকারা। অনেকেই আবার স্যুপ, খিচুড়ির মতো সাধারণ খাবার খেয়েও মধ্যাহ্নভোজ সারেন।
৬) বিকেলের মেনু
বেশির ভাগ তারকা বিকেলে শরীরচর্চা করার পর হালকা কিছু খেতে পছন্দ করেন। তাই বলে পাড়ার মোড়ের ফুচকা, রোল কিংবা চাউমিন নয়। সব্জি সেদ্ধ, মাশরুম, পালংশাক দিয়ে তৈরি স্মুদি খাওয়াই তাঁদের অভ্যাস।
৭) রাতের খাবার
রুপোলি জগতের মানুষদের রাতেও নানা রকম অনুষ্ঠান, উদ্যাপনের মধ্যে থাকতে হয়। সেই কারণে এক-আধ দিন খেতে দেরি হতেই পারে। তবে কাজ না থাকলে নায়ক-নায়িকারা সন্ধে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যেই নৈশভোজ সেরে ফেলেন। খাবার টেবিলে থাকে স্যুপ, সব্জি, মুরগির মাংস কিংবা মাছ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy