Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Seasonal allergies

হাঁচি শুরু হলে থামতে চায় না? খুসখুসে কাশি, চোখ থেকে অনবরত জলও পড়ে, কোন কোন উপায়ে সমাধান হবে?

হাঁচি একটানা হতেই থাকে? সকালে ঘুম থেকে উঠেই হাঁচির পর হাঁচি শুরু হয়? কেন হচ্ছে জানেন? কী ভাবে নির্মূল হতে পারে সেই উপায়ও জেনে নিন।

Home remedies to stop sneezing

হাঁচি না থামলে কী করবেন? ছবি: ফ্রিপিক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৪ ১২:৩১
Share: Save:

ঠান্ডা লেগে সর্দি জমে গেলে হাঁচি শুরু হয়। অনেকের আবার হাঁচি শুরু হলে থামতেই চায় না। একটানা হাঁচি, কাশি চলতেই থাকে। সেই সঙ্গে চোখ থেকে অনবরত জল পড়ে। অ্যালার্জির সমস্যা বিশেষ করে ‘অ্যালার্জিক রাইনিটিস’ থাকলে এমন হতে পারে। আবার খাবারে অ্যালার্জি, পশুর লোম, ধুলো-ধোঁয়া অত্যাধিক দূষণ থেকে অ্যালার্জির কারণেও একটানা হাঁচি হতে পারে। হাঁচি শুরু হলেই যদি অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে নেন, তা হলে হাঁচি সেই মুহূর্তে কমবে ঠিকই, কিন্তু পাকাপাকি ভাবে সমস্যার সমাধান হবে না। তাই গোড়া থেকে এই সমস্যা নির্মূল করতে হবে। সে জন্যই গাদা গাদা ওষুধ না খেয়ে বরং কিছু ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখুন।

হাঁচি কেন হচ্ছে সেই কারণ আগে বুঝতে হবে। যদি দেখেন ধুলো-ধোঁয়া লাগলেই হাঁচি হয়, তা হলে বুঝতে হবে ‘ডাস্ট অ্যালার্জি’ আছে। অপরিচ্ছন্ন জায়গা, নির্মাণস্থল, ধুলো-বালি আছে এমন জায়গা এড়িয়ে চলুন। কারণ, শ্বাসনালিতে ধুলো ঢুকলেই প্রদাহ শুরু হবে, তখন হাঁচির পর হাঁচি হতে থাকবে। পোষ্যের লোম থেকেও অনেকের অ্যালার্জি হয়, একে বলে ‘পেট অ্যালার্জি’। তখন সেই মতো ব্যবস্থা নিতে হবে। দরকারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রচণ্ড ঠান্ডায় ‘কোল্ড অ্যালার্জি’ হয় অনেকের। বেশি ক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে হাঁচি শুরু হয়। আবার রাইনিটিস থাকলে মরসুম বদলের সময়ে হাঁচি-কাশির সমস্যা শুরু হতে পারে।

হাঁচি থামানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল বাষ্প নেওয়া। বড় পাত্রে ফুটন্ত জল নিয়ে তার উপরে তোয়ালে ঢাকা দিয়ে বাষ্প নিলে খুবই উপকার হতে পারে। এখন তো বিদ্যুৎচালিত বাষ্প নেওয়ার যন্ত্রও আছে। নিয়মিত বাষ্প নেওয়ার অভ্যাস করলে অ্যালার্জি জনিত হাঁচির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।

ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে গরম পোশাক, সোয়েটার, স্কার্ফ সঙ্গে রাখা দরকার। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে কান-মাথা ভাল করে চাদরে জড়িয়ে বসলে ভাল। সঙ্গে সবসময়ে ইনহেলার রাখা জরুরি।

প্রতি দিন সকালে নিয়ম করে উষ্ণ গরম জলে পাতি লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলেও উপকার হতে পারে। লেবুর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।

রাতে শোয়ার আগে এক চামচ মধু খেয়ে শুলেও হাঁচি-কাশির সমস্যা দূর হতে পারে। ঠান্ডা থেকে যাঁদের হাঁচি হয়, তাঁদের জন্য এই টোটকা খুবই কার্যকরী। ইউক্যালিপটাস তেলের গন্ধে হাঁচি থেমে যেতে পারে। রুমালে ২-৩ ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল নিয়ে হাঁচির সময় ক্রমাগত শুঁকতে থাকুন। উপকার পেতে পারেন।

প্রত্যেক দিন অল্প সময় বার করে ব্রিদিং এক্সারসাইজ় করা জরুরি। এই ধরনের ব্যায়াম নিয়মিত অভ্যাস করলে ফুসফুসে বাতাস ঢোকা এবং বার করার পরিমাণ বাড়ে। ফলে ফুসফুসের শক্তিও বাড়ে। সর্দি, হাঁচি-কাশির মতো সমস্যা দূরে থাকে।

হাঁচির সমস্যা কমাতে প্রাণায়াম খুব কার্যকরী হতে পারে। অনুলোম-বিলোম অভ্যাস করতে পারেন। প্রথমে ডান দিকের নাকের ছিদ্র চেপে ধরে, বাঁ দিক দিয়ে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার কাজ করতে হবে। পরে বাঁ দিকের নাকের ছিদ্র চেপে ধরে, ডান দিক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ ও বর্জনের অভ্যাস করতে হবে। এই প্রাণায়ামে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে হবে তিন ধাপে।

এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। হাঁচির সমস্যা থাকলে তা কী কারণে হচ্ছে জেনে নেওয়া জরুরি। অ্যালার্জির সমস্যা আছে কি না তা পরীক্ষা করলে ধরা পড়বে। তাই অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

অন্য বিষয়গুলি:

Fever Sneeze Dust Allergy Food Allergy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy