সাদা পাউরুটি, কার্বনযুক্ত পানীয়, আইসক্রিম খেতে ভাল লাগে ঠিকই, কিন্তু গাদা গাদা চিনি পেটে যাওয়া ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনি অন্ত্রে বসবাসকারী উপকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে নষ্ট করে দেয়। তখন হজমের গন্ডগোল হয়, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। বেশি চিনি দেওয়া পানীয় অনেকেরই পছন্দ। নরম পানীয় বা প্যাকেটজাত পানীয় দেখলেই লোভ হয়। বাড়িতে শরবত বানালেও তাতে একগাদা চিনি ঢালেন অনেকেই। মিষ্টি না হলে ফলের রসও ভাল লাগে না। চিনির প্রতি এই আসক্তি সহজে যেতে চায় না। তাই পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, বেশি চিনি দেওয়া পানীয়ের বদলে এমন কিছু খান যা পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকরও।
বেশি চিনি দেওয়া শরবত খেতে ইচ্ছা হলে বদলে এক গ্লাস জল খেয়ে নিন। পুষ্টিবিদের কথায়, প্রথম প্রথম অসুবিধা হবে, তবে পরে অভ্যাস হয়ে যাবে। আবার ধরুন, মিষ্টি মিল্ক শেক খেতে ইচ্ছা হল, বদলে চিনি ছাড়া গ্রিন টি বা ভেষজ চা পান করুন। কালো কফিও ‘সুগার ক্রেভিং’ কমাতে পারবে।
আরও পড়ুন:
বেশি চিনি দেওয়া পানীয়ের সবচেয়ে ভাল বিকল্প হতে পারে উদ্ভিদজাত দুধ। নানা ধরনের বাদাম, ওট্স, নারকেল ও সয়াবিন থেকে এই দুধ পাওয়া যায়। আমন্ড মিল্ক, কোকোনাট মিল্ক, ওট মিল্ক ও সয়া মিল্ক। দুধের বিকল্প খাবারের কথা বললে প্রথমেই আসে সয়া মিল্ক। ক্যালশিয়ামে ভরপুর এবং সঙ্গে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ সয়া মিল্ক খেলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা হয় না। সয়া মিল্কে ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি১২, আয়রন থাকে। ওট্স বা অন্য সিড-বেসড দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার এতটাই ফাইবারে সমৃদ্ধ হয়, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতে পারে।
বাড়িতেও শরবত বানানোর সময়ে চিনি কম দিন। প্যাকেটজাত ফলের রসের বদলে বিভিন্ন ফল কেটে জলে মিশিয়ে ডিটক্স পানীয় তৈরি করে রাখতে পারেন। এতেও শরীর ভাল থাকে। ডিটক্স পানীয় খেলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়।