অনিদ্রাজনিত কারণেও সারাক্ষণ মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করে। ছবি: সংগৃহীত
শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার। তেমনই শরীরের যত্ন নিতে দরকার পর্যাপ্ত ঘুমেরও। ঘুম পর্যাপ্ত হলে মেজাজ ভাল থাকে। মন ও মস্তিষ্ক শান্ত থাকে। আর ঘুমের ঘাটতি থাকলে তার প্রভাব পড়ে শরীরে। এমনকি অনিদ্রা দীর্ঘ কোনও শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে প্রায় সারা দিনই প্রচন্ড মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা করে। অনেকেই এই স্বভাব ডায়াবিটিসের লক্ষণ বলে ধরে নেন। তবে এর আসল কারণ রাতে ঠিক করে ঘুম না হওয়া। অনিদ্রাজনিত কারণেও সারাক্ষণ মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করে। অনিদ্রার কারণে আরও অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য কী কী করণীয়?
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান
প্রতি দিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসে ঘুমের উন্নতি হয়। ঘুমানোর সময় আলো নিভিয়ে রাখুন। শোয়ার ঘরে টেলিভিশন না থাকাই বাঞ্ছনীয়। টেলিভিশন বা বাল্বের উজ্জ্বল আলো মস্তিষ্ক মেলাটোনিন হরমোনকে প্রভাবিত করে। ফলে ব্যাঘাত ঘটতে পারে ঘুমের।
সূর্যের আলোয় ঘুরে বেড়ান
ঘুম হোক আর না হোক প্রতি দিন সকালে উঠে কমপক্ষে ২০ মিনিট সূর্যের আলোয় থাকুন। এতে মন ও মস্তিষ্ক দুই-ই সজীব ও সতেজ থাকবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ল্যাপটপ বা মোবাইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করে নিন
রাতের খাবার খাওয়ার পরে বজ্রাসনে বসুন। বেশ কিছু ক্ষণ এই ভাবে বসার পরে কয়েকটি হালকা যোগাসন করে নিতে পারেন। ঘুম ভাল হবে।
ঘুমানোর সময় বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি দূরে রাখুন
মোবাইল, মোবাইলের চার্জার, ট্যাব, হেডফোনের মতো অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি বিছানা থেকে দূরে রাখুন। যন্ত্র মস্তিষ্ককে স্থির হতে দেয় না। মস্তিষ্ক সচল থাকলে ঘুম আসতে চায় না। মন শান্ত করতে শোয়ার আগে প্রাণায়াম করতে পারেন। পছন্দের বিষয়ের ভাল কোনও বইও পড়তে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy