ঘড়ির কাঁটা ধরেই খেতে হবে, কী কী নিয়ম মানবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
সুস্থ থাকতে সুষম খাবার খেতেই হবে। যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তা হলেও ঘড়ির কাঁটা ধরেই খেতে হবে। কী খাচ্ছেন তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কখন খাচ্ছেন তা-ও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, প্রতি দুই থেকে তিন ঘণ্টা অন্তর খাওয়া উচিত। একবারে ভারী খাবার না খেয়ে বারে বারে অল্প অল্প করে খেলেই হজম ভাল হবে। শরীরে মেদও জমবে না।
শম্পার পরামর্শ, সকালে প্রাতরাশ বাদ, তার পরে বেলায় চর্ব-চোষ্য খেয়ে ফেললে কোনও লাভই হবে না। অনেকেই ভাবেন যে, বার বার খেলে মেদ জমবে। এটি সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। দিনে তিন বার ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে ছ’বার অল্প অল্প করে খেলে তবেই শরীর ঠিক থাকবে।
সকাল, দুপুর এবং রাত, এই তিনবেলার খাবার হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে মাঝের সময়েও একেবারে পেট খালি রাখলে চলবে না। বেশি ক্ষণ পেট খালি থাকলে গ্যাস-অম্বলের ভয় থাকে। পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, প্রতিটি খাবারের মধ্যে অন্তত ২-৩ ঘণ্টার ফারাক থাকতে হবে। হালকা খাবার কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর খেতে হবে। যেমন, প্রাতরাশে দুধ-কর্নফ্লেক্স বা ওট্স খেলে ‘মিড মর্নিং’-এ মরসুমি ফল বা একমুঠো বাদাম খেতে হবে। আবার দুপুরের খাওয়ার পর সেই রাতে খেলে চলবে না। তার মাঝে বিকেলে হালকা টিফিন করতেই হবে। সেই সময়ে ছাতু, বাদাম, শুকনো ফল অথবা পোহা খেতে পারেন। ভাজাভুজি বা মুচমুচে স্ন্যাকস একেবারেই খাওয়া চলবে না।
শরীরের বিপাক হারের উপর নির্ভর করে কত ক্ষণ অন্তর খাওয়া জরুরি। সকালে কখন উঠছেন, শারীরিক পরিশ্রম কতটা, শরীরচর্চার অভ্যাস রয়েছে কি না, এই বিষয়গুলি খাওয়াদাওয়া এবং তার সময়ের উপর নির্ভর করে। তবে সময় মেপে খাওয়া খুব জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy