কাজের ফাঁকে খিদে পেলে স্বাস্থ্যকর কিন্তু মুখরোচক খাবারই খান। ছবি: ফ্রিপিক।
অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা বসে কাজ। বাড়ি থেকে কাজ করলেও একটানা বসে বিরক্তি আসে। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘাড়ে-কোমরে ব্যথা যেমন হয়, তেমনই একঘেয়েমিও চলে আসে। এই সময়ে টুকটাক মুখ চালাতেই ইচ্ছা করে। কাজের ফাঁকে হালকা কিছু খাবেন ভেবে সেই ভাজাভুজি, পিৎজ়া-বার্গারের দিকেই নজর যায়। আর রোজ রোজ বাইরের খাবার খেতে খেতে পেটের দফারফা তো হয়ই, ক্লান্তি ভাবও বাড়ে। আবার যদি হার্টের রোগ, ডায়াবিটিস বা উচ্চ কোলেস্টেরল থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। এই সব খাবার শরীরের জন্য বিষ। তাই এমন কিছু খান বা সঙ্গে রাখুন, যাতে স্বাস্থ্যরক্ষা হয়। আবার স্বাদের সঙ্গেও আপস করতে না হয়।
কাজের ফাঁকে টুকটাক মুখ চালাতে কী কী খাবেন?
পুষ্টিকর স্ন্যাকস রেখে দিন হাতের কাছেই, যাতে অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে নজর না যায়।
১)কাবলি ছোলা, মটর স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়ার জন্য খুবই ভাল। একমুঠো খেলেই পেট ভরে যায়। স্বাদেও ভাল। আবার ডায়াবেটিকদের জন্যও উপকারী।
২) আখরোট, কাঠবাদামের মতো কিছু ড্রাই ফ্রুটস কিনে রাখুন। তাতে সাধারণ বাদামের তুলনায় অন্য রকম স্বাদ পাওয়া যাবে। সঙ্গে পেস্তা, খেজুরের মতো শুকনো খাবার অফিস ডেস্কে রেখে দিতে পারেন। মাঝেমধ্যে বাদাম দিয়ে একটি স্যালাডও বানিয়ে নিতে পারেন। ছোলা, বাদাম মিশিয়ে উপরে কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনে পাতা কুচি আর লেবুর রস ছড়িয়ে নিলে তা খুবই মুখরোচক একটি স্ন্যাকস হবে।
৩) ফ্রুট স্যালাড খুবই স্বাস্থ্যকর ও মুখরোচক স্ন্যাকস। কলা, পাকা পেঁপে, শসা, আপেল, যা-ই থাকুক না কেন, অন্য খাবারের চেয়ে স্বাস্থ্যকর। সব ফল মিশিয়ে স্যালাড বানিয়ে নিতে পারেন। হালকা খিদে মেটাতে এর চেয়ে পুষ্টিকর স্ন্যাকস আর হবে না।
৪) প্রসেসড ফুড হলেও পপকর্ন স্বাস্থ্যকর। চিজ় বা ক্যারামেল পপকর্ন নয়, সাধারণ পপকর্নই কিনুন। বাড়িতে বানাতে পারলে আরও ভাল। পপকর্ন খুব সহজেই পেট ভরিয়ে দেবে।
৫) মাখানাও খুবই পুষ্টিকর। সামান্য ঘি নিয়ে তাতে মাখানা কড়া করে ভেজে নিয়ে চাটমশলা, গোলমরিচ, লঙ্কার গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে খেতেই পারেন। বিকেলের দিকে হালকা স্ন্যাকস হিসেবে মাখানা খুবই স্বাস্থ্যকর।
৬) হালকা স্ন্যাকস হিসেবে ওট্সের তুলনা নেই। নানা পদ বানানো যায়। রোল-চাউমিন না খেয়ে বরং ওট্স অল্প জলে ভিজিয়ে সেই মিশ্রণটি মিক্সিতে বেটে নিন তার পর তাতে পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, টম্যাটো— সব ধরনের মশলা দিয়ে টিক্কির আকারে গড়ে নিন। অল্প তেলে ভাল করে ভেজে নিলেই খুব ভাল লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy