খিদে পেলেই ভাজাভুজি খান? ছবি-প্রতীকী
অফিসে বসে কাজ করতে করতে টুকটাক কিছু খেতে ইচ্ছা করেই। আসলে এটা যত না পেটের খিদে, তার চেয়ে অনেক বেশি মনের খিদে। মনের কথাও তো ভাবা উচিত। তবে মনের কথা ভাবতে গিয়ে চিপস্, কুকিজ, প্যাস্ট্রি, নরম পানীয় খেয়ে বিপদ বাড়াবেন না। রোজ এ সব খাওয়ার অর্থ হল স্থূলতা, হরমোনের তারতম্য, ডায়াবিটিস, থাইরয়েডের সমস্যার মতো একাধিক রোগ ডেকে আনা।
সারা দিন স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও টুকিটাকি খিদে মেটানোর জন্য আমরা ভাজাভুজির দিকেই ঝুঁকি! যা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়! এ ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদরা ডায়েটে এমন কিছু খাবার রাখতে বলেন, যা খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং টুকিটাকি খাওয়ার প্রবণতা কমবে।
তাই কাজের ফাঁকে স্বাস্থ্যকর কয়েকটি খাবার খেয়ে দেখতে পারেন। পেট ভরবে আর স্বাস্থ্যরক্ষাও হবে।
বাদাম: নানা ধরনের বাদাম মিশিয়ে সঙ্গে রাখতে পারেন। হঠাৎ একটু খিদে পেলে যখন-তখন বিস্কিট খাবেন না। তাতে শরীরের ক্ষতি হয়। বরং কাজু, আমন্ড, চিনেবাদাম, আখরোট— এ সব খান। প্রোটিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ ড্রাইফ্রুটস খেলে অল্পেই পেট ভরবে। শক্তি বাড়বে। কাজেও মনযোগ বাড়বে।
নারকেল: হালকা খিদে পেলে নারকেলও কিন্তু দারুণ বিকল্প হতে পারে। নারকেলে থাকা বিভিন্ন রকম ট্রাইগ্লিসারিড যৌগ শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। খিদে পেলে চপ-মুড়ি নয়, নারকেল খেতে পারেন! এতে থাকা ফাইবার অনেক ক্ষণ পেট ভরা রাখে।
অঙ্কুরিত ছোলা: অঙ্কুরিত ছোলায় ভিটামিন, ফাইবার এবং প্রোটিন— তিনটিই থাকে। ছোলায় ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। যাঁরা ওজন কমাতে চান এবং পেশি সুষম করতে তাঁরা রোজের ডায়েটে এই প্রকার ছোলা রাখতেই পারেন। অফিসের টিফিনে ছোলার সঙ্গে কাটা পেঁয়াজ, টম্যাটো, ক্যাপসিকাম, শসা, নুন, গোলমরিচ, লঙ্কাগুঁড়ো, চাটমশলা ও লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে যেতেই পারেন।
দইয়ের ঘোল: ক্লান্ত লাগলে অনেকেই এনার্জি ড্রিঙ্ক কিংবা কফি খান। তবে জানেন কি দইয়ের ঘোল খেলে আপনি চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারেন। দই প্রোটিনের ভাল উৎস! এক গ্লাস দইয়ের ঘোল খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে।
সব্জির রসের সঙ্গে চিয়া বীজ: গাজর, বিট কিংবা লাউয়ের রস কিন্তু শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এতে চিয়া বীজ মিশিয়ে খেলে তার স্বাস্থ্যগুণ আরও বাড়ে। তাই খিদে পেলে এই পানীয় খেলে বেশ কিছু ক্ষণ পেট ভরা থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy