রসুনের আচারের স্বাস্থ্যগুণ অনেক!
ভাত, রুটি কিংবা খিচুড়ি— সঙ্গে এক চামচ আচার থাকলে সবেরই স্বাদ বদলে যায়। টক-ঝাল-মিষ্টি এই খাদ্য থাকলে বাকি রান্নার স্বাদ কেমন হল, তা নিয়ে আর বিশেষ ভাবতে হয় না। কার দিদিমা কত ভাল আচার বানান, তা নিয়েও চলে বেশ তর্ক। জিভের যত্ন এ ভাবে আর কোনও জিনিসই বা নিতে পারে!
কিন্তু এই খাদ্য কি শুধুই স্বাদের জন্য খাওয়া হয়? নাকি স্বাস্থ্যেরও যত্ন নেয় আচার? তা নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয় না। বরং আচারের প্রসঙ্গ উঠলে ঘোর স্বাস্থ্য সচেতন মানুষও হিসাব গুলিয়ে ফেলেন। ডায়েট নিয়ে চর্চা বাদ দিয়ে মন ভাল করা বয়ামে চামচ ডোবান। কিন্তু আছে আছে, আচারেও গুণ আছে। যে কোনও ধরনের আচারই হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া, আচারে থাকে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি ও ই। এতে উপস্থিত নানা ধরনের ভাল ব্যাক্টেরিয়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, পেশিতে টান ধরলে এক চামচ আচার খেলেই রেহাই মেলে।
এক এক ধরনের আচারের স্বাস্থ্যগুণ এক এক রকম! রোজের খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে কী উপকার পেতে পারেন জানেন?
১) ইদানীং কম বয়সেও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে সকল হার্টের রোগী নিয়মিত রসুন খান, তাঁরা অনেক বেশি সক্রিয় থাকেন। তাই রোজের খাবারে রসুনের আচার রাখলে হৃদ্যন্ত্র ভাল থাকে।
২) বেশি মাত্রায় রসুন খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে।
৩) রসুন রক্তে আয়রন শোষণের মাত্রা বাড়ায়। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তাল্পতার সমস্যা শুরু হয়, শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। তাই রোজের খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখলে রক্তাল্পতার সমস্যা কমে।
৪) রসুনে থাকে ভিটামিন বি ৬ এবং সি, ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো উপাদান। তা মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রে দারুণ উপকারী। রসুন খেলে শরীরের বিপাক হার বাড়ে। ফলে বেশি মাত্রায় ক্যালোরি ঝরে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রসুনে এমন কিছু যৌগ আছে, যা মেদ গলানোর প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করে।
৫) রসুন প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। বাতের ব্যথা থাকলেও রোজের খাদ্যতালিকায় রসুনের আচার রাখতে পারেন। এই টোটকাতেই কমবে ব্যথা।
কী ভাবে দশ মিনিটেই বানাবেন এই আচার?
৫০০ গ্রাম রসুন নিয়ে তার খোসা ছাড়িয়ে নিন। মাইক্রোওয়েভ অভেনে ২০ সেকেন্ড গরম করে নিলেই সহজেই সুনের খোসা ছাড়িয়ে ফেলতে পারবেন। এ বার একটি বাটিতে রসুনর মধ্যে দু’চামচ হলুদ গুঁড়ো, দু’চামচ লঙ্কা গুঁডো, এক চামচ মৌরি গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন, আর তিনটি লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে তাতে সাদা সর্ষে ফোড়ন দিন। এ বার তেলটি ঠেলে দিন রসুনের মিশ্রণে। মিশ্রণটি কাচের শিশিতে ভরে ৭ থেকে ১০ দিন রোদে রাখুন। তৈরি হয়ে যাবে দারুণ সুস্বাদু আচার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy