বাড়তি ওজন হৃদ্যন্ত্রের স্থাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়।
ক্রমাগত অনিয়ম, মানসিক চাপ, পরিশ্রম— এগুলি যদি নিত্য দিনের সঙ্গী হয়, তা হলে হৃদ্যন্ত্র জানান দেবে না, এমনটা নয়। আর এ সবের সঙ্গে যদি মেদ সঙ্গ দেয়, তা হলে তো আরও মুশকিল। বাড়তি ওজন হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। অথচ পেশার ধরন, জীবনযাত্রার মান, পারিপার্শ্বিক চাপ, এ সব মোটেও বদলানোর নয়। তা হলে হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখার উপায়?
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিটামিন কে হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মিনারেলাইজেশনের কারণে ধমনিতে খনিজ জমা হলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ভিটামিন কে এই মিনারেলাইজেশন প্রতিরোধ করতে পারে। আমেরিকার ‘নিউ এডিথ কোওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, যাঁরা ভিটামিন কে-সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করেন, তাঁদের এথেরোস্ক্লেরোসিস সম্পর্কিত কার্ডিয়োভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি ৩৪ শতাংশ কম।
কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন কে-র ঘাটতি হচ্ছে?
১) শরীরের কোথাও কেটে গিয়ে রক্তপাত বন্ধই হচ্ছে না? ভিটামিন কে-র ঘাটতি হলে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্ততঞ্চনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরিতে সাহায্য করে ভিটামিন কে।
২) হাড় ভেঙে যাওয়া বা হাড়ের ঘনত্ব কম হওয়ার কারণও হতে পারে ভিটামিন কে । কারণ ভিটামিন কে হাড় শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। শরীরে ভিটামিন কে-র পরিমাণ কম হয়ে গেলে পেশির জয়েন্টে ব্যথা ও অস্টিয়োপোরসিসও হতে পারে।
৩) ঋতুস্রাবের সময়ে একটু-আধটু পেটে ব্যথা হতেই পারে। কিন্তু যদি খুব বেশি পেটে ব্যথা হয়, তা হলে তার অন্যতম কারণ হতে পারে শরীরে ভিটামিন কে-র ঘাটতি।
কী খেলে কমবে ঘাটতি?
শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি আছে কি না, সময় থাকতে সে বিষয়ে সতর্ক হোন। প্রতিদিনের ডায়েটে বেশি করে শাকসব্জি রাখতে হবে। ব্রকোলি, পালং শাক, বরবটি ভিটামিন কে-এর ভাল উৎস। দুগ্ধজাত খাবার ও ডিম খেলেও এই ভিটামিনের ঘাটতি মেটানো সম্ভব। ডায়েটে রাখুন কিউয়ি, অ্যাভোক্যাডো, আঙুরের মতো ফল। মুরগির মাংস এবং সয়াবিনেও ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন কে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy