হার্ট ভাল রাখতে হলে কী কী নিয়ম মানবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
যত দিন যাচ্ছে, পাল্লা দিয়ে ততই বাড়ছে হার্টের অসুখ। কোভিডের ঠিক পরে পরেই হার্ট অ্যাটাকে পর পর মৃত্যুর খবর শোনা গিয়েছিল। কেন হঠাৎ এত বেড়ে গেল হার্টের ব্যামো?
এই বিষয়ে হৃদ্রোগের চিকিৎসক দিলীপ কুমারের বক্তব্য, “হার্ট অ্যাটাক বা হার্টের অসুখ বাড়ার অনেকগুলি কারণ আছে। যার মধ্যে অন্যতম জীবনযাপনে পরিবর্তন, ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস, মানসিক চাপ ইত্যাদি। এ ছাড়া হার্টের অসুখের জন্য কিছু জেনেটিক বা বংশগত কারণও আছে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল যদি বেশি থাকে, তা হলে হার্টের স্বাস্থ্যেও তার প্রভাব পড়ে। মানুষ যত বেশি জাঙ্ক ফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন, ততই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে। ফলে হার্টও দুর্বল হয়ে পড়ছে।” পাশাপাশি মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবিটিস তো রয়েছেই।
সাধারণভাবে হার্টের অসুখ থাকলে বুকে অসহ্য ব্যথা অনুভূত হয়। সেই সঙ্গে ঘাম হয় এবং শরীর খারাপ লাগে। ক্রমাগত শরীর খারাপ করতে থাকলে হার্টের অসুখ হতে পারে। হার্টের করোনারি আর্টারি বা ধমনীতে ব্লকেজ থাকলে মানুষের শরীরে নানা সমস্যা হয়। অনেকসময় এই সমস্যাগুলি নিঃশব্দে দানা বাঁধে।
কারও যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস বা পরিবারে কারও হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকে, সে ক্ষেত্রে ৩০ বা ৩৫ বছরের পর থেকেই বছরে এক বার করে হার্টের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভাল। নিয়মিত ই সি জি পরীক্ষা, ব্লাড সুগারের পরীক্ষা এবং ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করাতে হবে। দিনে অন্তত এক মাইল হাঁটতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা বর্জন করতে হবে। মদ্যপান বন্ধ করতে হবে। নিয়মিত রক্তের সিরাম, লিপিড পরীক্ষা করাতে হবে। যদি কম বয়সে বাইপাস সার্জারি হয়ে থাকে, তা হলে দশ-পনেরো বছর পরে আবার পরীক্ষা করানো দরকার। বাইপাস করালেও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy