ঘি খেয়েই ওজন কমান। ছবি: সংগৃহীত।
অফিস যাওয়ার আগে ঘি মেখে আলুসেদ্ধ ভাত সবচেয়ে তৃপ্তির ছিল। কিন্তু ওজন বাড়ছে দেখে প্রথমেই ঘি খাওয়া বন্ধ করে দিলেন। কিন্তু তাতেও যে বিশেষ সুফল পেলেন, তা নয়। তাই শেষ পর্যন্ত ভরসা রাখলেন পুষ্টিবিদের উপর। পুষ্টিবিদ পরামর্শ দিলেন, রোগা হওয়ার জন্য ঘি খাওয়া বন্ধ না করে বরং পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন। ঘি খেয়ে রোগা হওয়ার এই বিষয়টি অনেকের কাছেই বিস্ময়ের। তবে ভ্রান্ত হয়। ঘি খেয়েও কী ভাবে ওজন ধরে রাখা যায়?
হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে
হজমক্ষমতা ভাল হলে ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করার দরকার পড়ে না। আর হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে ঘি খেতে পারেন। ঘিয়ে রয়েছে ‘মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস’, যা শরীর ভিতর থেকে চনমনে রাখতে সাহায্য করে। জমে থাকা ক্যালোরি পোড়াতেও ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার।
মেদ ঝরাতে সাহায্য করে
ঘিয়ে আছে ‘কনজুগেটেড লিনোলেইক অ্যাসিড’, যা শরীরের ফ্যাট গলনে সাহায্য করে। ‘সিএলএ’ শরীরের ফ্যাট কমায় এবং ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। রোজ যদি এক চামচ করেও ঘি খাওয়া যায়, তা হলে শরীরের মেদ ঝমার সুযোগই পাবে না।
খিদে কমাতে
ঘি শরীরে এমন হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে, যা দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ঘি খেলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও অনেকটা কমে। এমনিও দু’টো খাবারের মাঝে অন্তত ঘণ্টা দু’য়েক বিরতি থাকা জরুরি। পর পর খাবার খেতে থাকলে ওজন কমার চেয়ে বেড়ে যেতে পারে। ঘি সেই ঝুঁকি কমাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy