জোর করে ঘুম থেকে ওঠেন? ছবি: শাটারস্টক
বছর ২৩-এর অয়ন। পেশায় একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। সকালের অফিস। ফলে অনেক সকালে উঠতে হয়। কিন্তু অয়ন প্রচণ্ড ঘুমকাতুরে। রাতে ঘুমোনোর আগে মনে করে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন। কিন্তু তা-ও সময়ে উঠতে পারেন না। শেষ নিজে থেকেই জোর করে বিছানা ছাড়েন। বেশ কয়েক মাস চলার পর শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি জানান, জোর করে ঘুম থেকে ওঠার ফলেই এমন হয়েছে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারেন না, কিন্তু কাজের প্রয়োজনে জোর করে অনেককেই উঠতে হয়। শরীরের বিরুদ্ধে গিয়ে এই জাগরণ স্বাস্থ্যকর নয়। কী কী সমস্যা হতে পারে এর ফলে?
১) পর্যাপ্ত ঘুম সারা দিন চনমনে রাখতে সাহায্য করে। ঘুম ঠিকঠাক হলে শুধু শরীর নয়, ভাল থাকে মনও। কাঁচা ঘুম যদি ভেঙে যায়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু শরীরে একটা আলসেমি চলে আসে। কোনও কাজেই মন বসে না। কোনও কাজে সঙ্গ দেয় না শরীরও। অল্প কাজে করেই ক্লান্ত লাগে। বেশ কিছু দিন এমন চলতে থাকলে স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে।
২) চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যদি কেউ জোর করে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করেন, সে ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ে শরীরবৃত্তীয় ঘড়িতে। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট চক্র রয়েছে। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো প্রয়োজন। রাত করে ঘুমিয়ে অনেকেই সকাল সকাল ওঠেন। ঘুমের চক্র অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এতে শরীরের কার্যক্ষমতা অনেক কমে যায়।
৩) সকালে ঘুম থেকে উঠলে ওজন কমে। তবে জোর করে ঘুম থেকে ওঠার কারণে মাত্রাতিরিক্ত হারে ওজন কমতে থাকে। এর ফলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা ধরনের রোগ। সকালে ঘুম থেকে ওঠা যতটা ফলদায়ক, কাঁচা ঘুম ভেঙে বিছানা ছাড়ার অভ্যাস ততটাই অস্বাস্থ্যকর। সকালে উঠতে হলে বেশি রাত করে না ঘুমোনোই ভাল। ঘুমের ঘাটতি ডেকে আনতে পারে অনেক শারীরিক সমস্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy