পাইলসের সমস্যা কেবল বয়স্কদের নয়, কমবয়সিদের মধ্যেও দেখা যায় এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। ছবি: শাটারস্টক।
সকালে উঠে শৌচালয়ের কাজ সারতে এতটাই সময় লাগে যে কাজে বেরোতে দেরি হয়ে যায়! এই সমস্যা কিন্তু অনেকেরই হয়। দিনের পর দিন এ ভাবে চলতে থাকলে তা শুধু মানসিক শান্তির ব্যাঘাতই ঘটায় না, শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে পাইলস বা অর্শের মতো রোগ। এই সমস্যা কেবল বয়স্কদের নয়, কমবয়সিদের মধ্যেও দেখা যায় এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। অথচ বেশির ভাগ মানুষের মনেই এ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করে। ফলে রোগের প্রকৃতি আরও জটিল হতে থাকে। পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনলেই এই রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। কী খাবেন আর কী খাবেন না, রইল সেই হদিস।
অর্শের প্রধান উপসর্গ হল মলত্যাগের সঙ্গে বা পরে কাঁচা রক্তপাত। সমস্যা বাড়লে মলত্যাগের সময় যন্ত্রণাও অন্যতম উপসর্গ হয়ে ওঠে। মলদ্বারে ব্যথা বা মলত্যাগের সময় রক্ত পড়তে শুরু করলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার।
কী খাবেন?
১) দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ ফল ও শাকসব্জি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এগুলি নিয়মত খেলে অর্শরোগীদের কষ্ট অনেকটাই কমতে পারে। ফাইবার পেটের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই ডায়েটে পর্যাপ্ত মাত্রায় ফাইবার থাকছে কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
২) জল কম খাওয়ার অভ্যাস অর্শের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। প্রচুর পরিমাণ জল খেতে হবে। পর্যাপ্ত জল শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং কোষ্ঠ নরম করে।
৩) গোটা শস্য থেকে তৈরি বিভিন্ন খাদ্য খেতে পারেন। ঢেঁকিতে ছাঁটা চাল খেতে পারেন।
৪) বিভিন্ন প্রজাতির ডাল, কড়াইশুঁটি ও রাজমার মতো খাদ্য অর্শ রোগীদের জন্য আদর্শ।
কী খাবেন না?
১) দুধ ও পনির বা চিজের মতো দুগ্ধজাত খাবারের পরিমাণ কমালে উপকার মিলতে পারে।
২) পুষ্টিবিদদের মতে, মাংস বা রেড মিট খাওয়া অর্শ রোগীদের পক্ষে ভাল নয়। বাজারচলতি প্রক্রিয়াজাত মাংস বাড়িয়ে দিতে পারে অর্শের সমস্যা। শুধু মাংস নয়, প্রক্রিয়াজাত যে কোনও খাবারই অর্শের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩) বেশি তেলে ভাজা খাবারও অর্শরোগীদের স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে।
৪) খাবারে অত্যধিক তেল, মশলা ও নুন থাকলে পেটের গোলযোগ দেখা দিতে পারে। ফলে সমস্যা আরও বাড়ে।
৫) মদ্যপান বন্ধ না করলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy