খাবারে বিষক্রিয়া থেকে শিশুদের ঘন ঘন বমি, পেটের গোলমাল হতে পারে। ছবি: ফ্রিপিক।
এই বর্ষার সময়ে রাস্তার খাবার ভুলেও শিশুকে খাওয়াবেন না। এই সময়ে ঘরে ঘরে সর্দিকাশি, জ্বর। পেটের গোলমাল, ডায়েরিয়াও হচ্ছে। শিশুদের সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে ‘স্টমাক ফ্লু’। এই বিষয়ে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর মত, রাস্তার খোলা খাবার, কাটা ফল বা শরবত শিশুদের খাওয়ালেই পেটের গন্ডগোল হতে বাধ্য। কারণ ঋতু বদলের এই সময়টাতে বিভিন্ন ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। খোলা, বাসি খাবার থেকে জীবাণু সংক্রমণ খুব সহজেই হয়। শুধু খোলা খাবার নয়, প্যাকেটবন্দি খাবার থেকেও শিশুদের পেটের রোগ হতে পারে।
‘ফুড পয়জ়নিং’ বা খাবারে বিষক্রিয়া দু’ভাবে হতে পারে। চিকিৎসকের মতে, রাস্তা থেকে যে খাবার কিনে দিচ্ছেন তাতে হয়তো আগে থেকেই ব্যাক্টেরিয়া জন্মে গিয়েছে। সে খাবার বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে। যেমন রোল-চাউমিনে যে কাঁচা স্যালাড দেয় তা হয়তো অনেক আগে থেকেই কেটে রাখা। অথবা কাটা ফল বা রাস্তা থেকে কেনা আচার, তার মধ্যেও হয়তো ছত্রাক জন্মে গিয়েছে যা বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। তেমন খাবার পেটে গেলে বিষক্রিয়া হতে বাধ্য। সেই খাবার শরীরে প্রবেশ করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বমি ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। আবার দোকান থেকে কেনা প্যাকেটবন্দি খাবার বা প্রক্রিয়াজাত মাংস, যা বহু আগে থেকেই রাসায়নিক দিয়ে সংরক্ষণ করে রখা হয়, তেমন খাবার থেকেও বিষক্রিয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মারাত্মক পেটের সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
শুধু রাস্তা থেকে কেনা খাবার নয়, বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে ফ্রিজে রেখে দেওয়া বাসি খাবার থেকেও বিষক্রিয়া হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কাটা ফল, ঢাকা না দেওয়া খাবার, কাঁচা মাছ বা মাংস থেকেও সংক্রমণ হতে পারে।
কী কী খাবার থেকে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বেশি?
১) দুধ ভাল করে না ফোটালে তার থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে। দুগ্ধজাত খাবার যদি বাসি হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে তা না খাওয়াই ভাল।
২) মাছ বা মাংস অনেক দিন ফ্রিজে রাখা থাকলে, তা শিশুদের না দেওয়াই ভাল। বিশেষ করে রান্না করা খাবার বাসি দেবেন না।
৩) কাটা ফল, সে রাস্তার হোক বা বাড়ির— ফ্রিজে অনেক দিন ধরে রেখে দেওয়া খাবার, কোনওটাই শরীরের জন্য ভাল নয়।
৪) প্যাকেটজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত মাংস, দোকান থেকে কেনা বেকড খাবার এই সময়ে না খাওয়ানোই উচিত।
বাবা-মায়েদের কী করণীয়?
১) শিশুদের এই সময়ে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। তাই বারে বারে নুন-চিনির জল খাওয়াতে হবে।
২) ভাল করে হাত ধুয়ে তবে শিশুকে খাবার খাওয়াবেন।
৩) শিশুর বারে বারে বমি হলে তরল খাবার দিতে হবে। এই সময়ে দুধ খাওয়াবেন না।
৪) তেলমশলা ছাড়া রান্না খাবার দিতে হবে, হালকা স্যুপ খাওয়ালে ভাল। টাটকা মরসুমি ফল দিতে পারেন।
৫) জল অবশ্যই ফুটিয়ে খাওয়াতে হবে।
৬) চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কোনও রকম ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক নিজে থেকে খাওয়াবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy