কোন কোন খাবার রক্তে আয়রনের মাত্রা এবং হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে? রইল তালিকা। ছবি: শাটারস্টক।
রক্তাল্পতা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপুষ্টিজনিত সমস্যাগুলির মধ্যে একটি। তবে শুধু অপুষ্টি নয়, আয়রনের অভাব, থ্যালাসেমিয়ার মতো রোগ, শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষত থেকে হওয়া রক্তক্ষরণের কারণেও শরীরে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত হলে ক্লান্তি বেড়ে যায়, শরীর দুর্বল লাগে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হয় এবং খাদ্যাভ্যাসে বদল আনতে হয়। কিন্তু পরিস্থিতি খুব জটিল না হলে সাধারণ কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেয়েই রক্তাল্পতার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগলে কী কী রাখতে পারেন ডায়েটে? কোন কোন খাবার রক্তে আয়রনের মাত্রা এবং হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে? রইল তালিকা।
ফল: অনেক খাবারেই আয়রন থাকে। কিন্তু শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি না থাকলে সেই আয়রন শরীর ঠিক মতো শোষণ করতে পারে না। আম, লেবু, আপেল, পেয়ারায় রয়েছে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া, বেদানার মতো ফলও খেতে পারেন। তাতেও প্রচুর আয়রন রয়েছে।
শাকসব্জি: শাকসব্জি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি অনেক কমে। বিট হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। টম্যাটো, কুমড়ো, ব্রকোলি বা পালং শাকে প্রচুর আয়রন থেকে। এগুলি খেলেও রক্তাল্পতার সমস্যা কমতে পারে।
সামুদ্রিক মাছ: চিংড়ি, টুনা, পমফ্রেটের মতো সামুদ্রিক মাছে ভাল মাত্রায় আয়রন থাকে। যাঁরা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাঁরা এই সব মাছ খেতে পারেন।
ডার্ক চকোলেট: হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমানোর মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে ডার্ক চকোলেট। মিল্ক চকোলেট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও ডার্ক চকোলেটে সেই ঝুঁকি নেই। বরং এটি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি মিটবে।
ড্রাই ফ্রুট: হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে কিশমিশ, কাজু, খেজুরের মতো শুকনো ফল খেতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন। অ্যাপ্রিকটেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমাতে এই সব ফলও খেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy