সন্তানধারণের চেষ্টা করার সময়ে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। ছবি: শাটারস্টক
ইদানীং ছেলে-মেয়েরা তিরিশের কাছাকাছি বয়সে পৌঁছে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। দেরিতে বিয়ে করেও সন্তানধারণের ক্ষেত্রে কেউ তাড়াহুড়ো করতে চান না। সময় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেন কোনও কোনও দম্পতি। তবে সন্তানধারণের চেষ্টা করার সময়ে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। দীর্ঘ অপেক্ষায় মানসিক চাপ বাড়তে শুরু করে। তার প্রভাব পড়ে শরীরের উপরও। ফলে অন্তঃসত্ত্বা হতে আরও সময় লেগে যায়। তবে অনেকেই এই সময়ে বুঝতে পারেন না যে, তাঁরা অজান্তেই এমন কিছু এমন ভুল করে ফেলছেন, যে কারণে আরও বেশি পিছিয়ে যায় সন্তানের আগমন। কিছু নিয়ম মানলেই সন্তান ধারণ আরও মসৃণ হয়ে উঠবে। সেগুলি কী, জেনে নিন।
১) গর্ভনিরোধক ওষুধ বন্ধ: নিয়মিত গর্ভনিরোধক ওষুধ খাচ্ছিলেন? ওষুধ বন্ধ করে দেওয়ার পরও শরীরের স্বাভাবিক ঋতুচক্রে ফিরতে বেশ কিছু দিন সময় লেগে যায়। অন্তত মাস তিনেক সময় লাগতেই পারে। তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন। ধৈর্য হারালে চলবে না।
২) মাসের কোন সময়ে সম্ভাবনা বেশি: মাসের কোন দিনগুলিতে যৌনমিলন আপনার মা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বাড়িয়ে দিতে পারে, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। ঋতুস্রাবের প্রথম দিন থেকে ১৩-১৪ দিন পর আপনার শরীর সবচেয়ে বেশি প্রস্তুত থাকবে। তাই ঋতুস্রাবের ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে যদি চেষ্টা করেন, তা হলে সুফল পাবেন। তবে আর একটি জিনিসও মাথায় রাখতে হবে। শুক্রাণু শরীরে প্রবেশ করার পর পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে। কিন্তু ডিম্বাণু থাকে মোটে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। তাই সেই ১২ থেকে ১৫ দিনের জন্য অপেক্ষা না করে তার কিছু দিন আগে থেকেই মিলন করে যেতে হবে।
৩) কী ভাবে সঙ্গম করছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ: কী ভাবে সঙ্গমে লিপ্ত হচ্ছেন, তারও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অনেকেই সঙ্গমের ভঙ্গিমা নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ভালবাসেন! তবে সন্তানধারনের জন্য প্রয়াস করার সময় সে সব না করাই ভাল। কোন ধরনের আসনে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে, সে বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে।
৪) লুব্রিক্যান্ট নয়: সঙ্গমের সময় সুবিধার জন্য অনেকেই নানা রকম লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করেন। তবে সন্তানধারণের চেষ্টার সময় এগুলি ব্যবহার না করাই ভাল। এতে শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
৫) ধূমপান বন্ধ: সন্তানধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে তামাকজাতীয় পদার্থ। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধূমপান বন্ধ করে দিন। এ ছাড়া খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চার দিকে নজর দিন। ওজন অতিরিক্ত বেশি থাকলে তা গর্ভপাতের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy