ছবি: সংগৃহীত।
গরম জলে মধু মিশিয়ে খান না এমন লোকের সংখ্যা হাতেগোনা। দ্রুত মেদ ঝরবে বলে অনেকেই এই পানীয়ের উপর ভরসা রাখেন। আবার, হজমের গোলমাল, বিপাকহার কিংবা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতেও সাহায্য করে মধু। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এমন অনেক উপাদান রয়েছে, যেগুলি মধুর সঙ্গে মেশানো যায় না। সেগুলি খেলে উপকারের বদলে শরীরের ক্ষতি হয়। জানেন সেগুলি কী কী?
মধুর সঙ্গে কোন কোন উপকরণ মেশানো বিপজ্জনক?
১) ঈষদুষ্ণ জলে মধু
বিভিন্ন গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, মধুর তাপমাত্রা ১৪০ ডিগ্রি বা বেশি হয়ে গেলে তা বিষে পরিণত হয়। ফুটন্ত গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে তা শরীরে গিয়ে বিপরীত প্রতিক্রিয়া করতেই পারে।
২) রসুনের সঙ্গে মধু
অনেকেই রসুন, কাঁচা হলুদ, গোলমরিচের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান। অন্যান্য উপকরণের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়া গেলেও রসুনের সঙ্গে কিন্তু মধু মিশিয়ে খাওয়া যায় না।
৩) শসার সঙ্গে মধু
স্যালাডের ড্রেসিংয়ে অলিভ অয়েলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান অনেকেই। তবে খেয়াল রাখবেন সেই স্যালাডে যেন শসা না থাকে। তা হলে কিন্তু হজমের গোলমাল কেউ ঠেকাতে পারবে না।
৪) ঘিয়ের সঙ্গে মধু
মধুর সঙ্গে ‘ক্লারিফায়েড বাটার’ বা ঘি মিশিয়ে খেলেও শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ‘টক্সিকোলজি রিপোর্টস’-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্র বলছে, এই মিশ্রণে ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পায়। চুল পড়ার পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে অচিরেই।
৫) মাছ, মাংসের সঙ্গে মধু
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন মাছ, মাংস বা ডিমের কোনও পদের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই ‘হানি চিকেন’ বা ‘হানি-চিলি ফিস’ খাওয়ার আগে সাবধান।
মধুর সঙ্গে কোন কোন উপকরণ মেশানো নিরাপদ?
১) পাতিলেবুর সঙ্গে মধু
মধুর সঙ্গে নিশ্চিন্তে পাতিলেবুর রস মেশানো যেতে পারে। গরম জল যদি মেশাতেই হয় সে ক্ষেত্রে উষ্ণতা যেন একেবারেই বেশি না হয়। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করা, ঠান্ডা লাগা বা গলার ঘা নিরাময়ে সাহায্য করে এই মিশ্রণ।
২) আদার সঙ্গে মধু
হজমের গোলমাল হলে মধুর সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। গ্যাস, অম্বল এবং প্রদাহজনিত সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে এই ঘরোয়া টোটকা।
৩) দারচিনির সঙ্গে মধু
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে ভরপুর মধু এবং দারচিনি। রক্তে শর্করার সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই মিশ্রণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy