Advertisement
১৮ অক্টোবর ২০২৪
Diabetes Treatment

ডায়াবিটিসে ভুগছেন? ডায়েটে ৫টি খাবার রাখলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তের শর্করার মাত্রা

রক্তের শর্ককার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিকদের রোজের ডায়েটে কিছু খাবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখা জরুরি। জেনে নিন, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী খাবার অবশ্যই রাখা উচিত ডায়েটে?

ডায়াবিটিস রুখতে ৫ খাবারে ভরসা রাখতে পারেন।

ডায়াবিটিস রুখতে ৫ খাবারে ভরসা রাখতে পারেন। ছবি: শাটারস্টক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৪ ১৪:২৬
Share: Save:

ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়াদাওয়ায় চলে আসে নানা রকমের বিধি-নিষেধ। শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলেই রাশ টানতে হয় খাওয়াদাওয়ায়। ডায়াবেটিকরা অনেক কিছুই খেতে পারেন না। তবে ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে কী খাচ্ছেন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কখন খাচ্ছেন, সেটাও অত্যন্ত জরুরি। তাই শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। সঠিক সময়ে খেতে হবে। কারণ পেট খালি থাকলেই শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

নিয়ম করে শরীরচর্চা, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া, বাইরের খাবার না খাওয়া— ডায়াবেটিকদের কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হয়। নয়তো শর্করার মাত্রায় রাশ টানা সম্ভব নয়। রক্তের শর্ককার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়াবেটিকদের রোজের ডায়েটে কিছু খাবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখা জরুরি। জেনে নিন, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী খাবার অবশ্যই রাখা উচিত ডায়েটে?

উচ্ছে: এই সব্জিতে ক্যারেনটিন ও পলিপেপটাইড-পি নামক যৌগ থাকে যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ইনসুলিনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে এই দুই যৌগ। তাই ডায়েটে উচ্ছে, করলার মতো সব্জি রাখা ডায়াবেটিকদের জন্য বেশ উপকারী।

মেথি: ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে ভরসা রাখতে পারেন মেথির বীজে। হেঁশেলের এই মশলা রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ডায়াবিটিস সামলাতেও পারদর্শী। মেথিতে রয়েছে থায়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফল্যাভিন, নিয়াসিনের মতো উপকারী উপাদান। এগুলি ছাড়াও পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম-সমৃদ্ধ মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। মেথি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। ডায়াবিটিস রোগীর জন্য মেথি তাই মহৌষধি। এ ক্ষেত্রে ডায়েটে মেথি শাক, মেথি ভেজানো জল, মেথি চা খেতে পারেন।

দারচিনি: টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যায়। মশলাটি গ্লুকোজ গ্রহণের জন্য কোষগুলিকে উদ্দীপিত করে। দারচিনি খেলে অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও দারচিনিতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক যৌগের উপস্থিতি মিলেছে। যা সরাসরি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ঢ্যাঁড়শ: এই সব্জির মধ্যে রয়েছে ফাইবার, যা বিপাকক্রিয়া চাঙ্গা রাখতেও সাহায্য করে। বিপাকহার ভাল হলে শারীরবৃত্তীয় সব কাজ ভাল হয়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তে ইনসুলিনের কার্যকারিতা সঠিকভাবে পরিচালিত হয় ঢ্যাঁড়শ ভেজানো জল খেলে। ঢ্যাঁড়শে থাকা যৌগ অগ্ন্যাশয়ে শর্করার শোষণের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

বার্লি: কেবল মুঠো মুঠো ওষুধের উপর নয়, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ভরসা রাখতে পারেন, বার্লি-জলের উপর। বার্লিতে রয়েছে ‘বিটা গ্লুকান’ নামক সহজপাচ্য একটি ফাইবার। যা রক্তে উপস্থিত অতিরিক্ত শর্করা শোষণে বাধা দেয়। হঠাৎ মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দিতে পারে এই বার্লি ভেজানো জল।

অন্য বিষয়গুলি:

Diabetes Treatment Diabetes Control
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE