চুল পড়ে যাওয়াও হতে পারে রোগের লক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষাকাল এলেই মুঠো মুঠো চুল ওঠার সমস্যায় ভোগেন কেউ কেউ। অনেকে এমনও আছেন, যাঁরা সারা বছর ধরেই চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে কমবেশি নাজেহাল হন। অত্যধিক মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস, প্রসাধনীতে রাসায়নিকের ব্যবহার ও দূষণের বাড়বাড়ন্তের জেরে চুলের বারোটা বাজে, টাক পড়তে শুরু করে। তবে কেবল যত্নের অভাবই নয়, চুল পড়া অনেক ক্ষেত্রেই জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণও হতে পারে। জেনে নিন, কোন কোন অসুখ শরীরে বাসা বাঁধলে অত্যধিক হারে চুল পড়তে শুরু করে।
পিসিওডি: অনেক মহিলাই পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস)-এর সমস্যায় ভোগেন। এই অসুখে আক্রান্ত হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। এই অসুখে শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, তাই অত্যধিক চুল পড়া এবং চুল রুক্ষ, শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলি দেখা দেয়।
এগজ়িমা এবং পোরিওসিস: প্রদাহজনিত এই দুই রোগের কারণে চুলকানি, র্যাশ হতে পারে। লাল ছোপ সারা মুখে ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তা-ই নয়, এই দুই রোগের কারণেও চুলের ঘনত্বও কমে যেতে পারে।
অ্যালোপেসিয়া: যখন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা চুলের ফলিকলগুলিকে আক্রমণ করে, তাকে বলা হয় অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটা। মাথার তালুতে এবং মুখে এই রোগের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে। এই রোগে আক্রান্ত হলে মাথার তালুতে গোল গোল চাকতির মতো টাক দেখা দেয়। এমনকি, ভুরুর রোমও ঝরতে শুরু করে।
থাইরয়েড: থাইরয়েডের সমস্যায় চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। থাইরয়েড হরমোন আয়রন, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ শোষণ করে। এই খনিজগুলি চুলের বৃদ্ধির জন্য উপকারী। হাইপোথাইরয়েডিজ়ম এবং হাইপারথাইরয়েডিজ়ম— উভয় রোগের ক্ষেত্রেই রোগীর চুল ঝরতে শুরু করে।
মানসিক চাপ: খুব বেশি মানসিক চাপ থাকলে তার প্রভাব কেবল শরীরেই নয়, চুলেও পড়ে। চুল পড়ার অন্যতম বড় কারণ হল উদ্বেগ, মানসিক চাপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy