দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাসআরও বাড়িয়ে দিচ্ছে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। ছবি: সংগৃহীত
আধুনিক জীবনযাত্রার পদ্ধতি, পরিবর্তিত খাদ্যভ্যাস, নিজের যত্ন নেওয়ার সময়ের অভাব শরীরে ডেকে আনে নানা অসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যত সময় গড়াচ্ছে তত বেশি করে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে সকলে। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা অসুখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, ওবেসিটি, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে হৃদ্রোগ। দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাসআরও বাড়িয়ে দিচ্ছে হৃদ্রোগের ঝুঁকি।
১) দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা
দিনের বেশির ভাগ সময়ে অফিসে কাটানোর ফলে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই।‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’ শীর্ষক গবেষণা পত্রে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, এক ভাবে বসে থাকলে তার প্রভাব পড়ে হৃদ্যন্ত্রে। দীর্ঘ ক্ষণ একই জায়গায় বসে কাজ করার পরিবর্তে কাজের ফাঁকে বিরতি নিন। হাঁটাচলা করুন। যাঁরা প্রতি দিন পাঁচ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় বসে থাকেন তাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে প্রতি ঘণ্টায় পাঁচ মিনিট করে হাঁটাচলা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
২) দাঁতের সঠিক যত্নের অভাব
দাঁত বা মাড়ি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে বাড়তে পারে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। নিয়মিত সঠিক পদ্ধতিতে দাঁতের যত্ন নেওয়ার অভ্যাস হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। জার্নাল অব পিরিওডন্টাল রিসার্চ’ নামক গবেষণা পত্রে প্রকাশিত সমীক্ষায় এমনই বলা হচ্ছে। দাঁত ও মাড়িতে জমে থাকা ব্যাক্টেরিয়া শরীরে প্রদাহের সৃষ্টি করে। প্রদাহজনিত সমস্যা থেকে জন্ম নেয় হৃদ্রোগ।
৩) একাকিত্ব
মানসিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত করার পাশাপাশি একাকিত্ব হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাও বাড়িয়ে তোলে। গবেষণা বলছে, সঙ্গীহীন বা একা ব্যক্তিদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি।মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে রাখবেন না। মন খুলে কথা বলুন। সবার সঙ্গে মেলামেশা করুন।
৪) অতিরিক্ত শরীরচর্চা করা
শরীর সুস্থ রাখতে ও হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে ব্যায়াম, যোগাসন, প্রাণায়ামের প্রয়োজন আছে। কিন্তু শরীরচর্চা সময় যেন পরিমিত হয়। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে ব্যায়াম করার ফলে হৃদ্যন্ত্রে চাপ পড়তে পারে। খুব বেশি পরিশ্রম বা দ্রুত কাজ করলেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
৫) বেশি নুন খাওয়ার প্রবণতা
চিকিৎসকরা দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে নুন, চিনি এড়িয়ে যেতে বলেন। বেশি নুন খাওয়ার অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এমনকি, বাইরের তেল-মশলাদার ও প্রক্রিয়াজাত খাবারও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করে। খাবারে সর্বোচ্চ ৫ গ্রাম নুন খাওয়া যেতে পারে। এর বেশি পরিমাণ নুন স্বাস্থ্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy