কোন ৫ টোটকা মেনে চললেই খিদে কম পাবে? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ ওজন ঝরাতে হবে। তাই সোজা পুষ্টিবিদের কাছে গিয়ে ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিয়ে আসা। ক্যালোরি মেপে খাচ্ছেন বটে। তবে, রাস্তার ধারের দোকানগুলিতে সাজিয়ে রাখা চপ-কাটলেট আর কবাব দেখলেই আর নিজেকে সামলাতে পারেন না কেউ কেউ। ক্যালোরি মেপে খেলে ক্ষণিকের জন্য পেট ভরলেও কিছু ক্ষণের মধ্যেই খিদে পেয়ে যাচ্ছে। ডায়েট করলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেতে হয়। মাঝে ভুলভাল কিছু খেয়ে নিলেই সমস্যা। ডায়েট শুরুর দিকে খিদে পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে খিদে পেলে কী ভাবে তা সামাল দেবেন, জানতে হবে সেই টোটকাই।
১) খিদে পেলেই বেশি করে জল খেয়ে নিন। এই টোটকায় খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যে কোনও ডায়েট করার সময়ে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। এতে শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কম হয়। বাইরে বেরোলে সঙ্গে ডিটক্স ওয়াটার রাখতে পারেন। বারে বারে লেবু, পুদিনা, শসা, তরমুজ মেশানো জলে চুমুক দিতে থাকুন, খিদে কম পাবে।
২) ডায়েটে বেশি ফাইবার রাখলে খিদে কম পায়। ফাইবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরতি থাকে, খিদে কমে। ওটমিল, বার্লি, ফল ও শাকসব্জিতে ভাল মাত্রায় ফাইবার থাকে। খেতে পারেন মটর, শিম, রাজমা ও বিভিন্ন প্রকার ডালও।
৩) প্রোটিনও খিদে কমাতে সাহায্য করে। ডায়েটে চার ঘণ্টা অন্তর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখলে তা খিদে পাওয়ার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে। তাই ডায়েটে বেশি করে চিকেন, ডিম, পনির এবং মাছ রাখুন।
৪) ডায়েট করার আগে মন থেকে প্রস্তুত হোন। ডায়েট শুরু করলে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন অনেকেই। এর ফলে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এ রকম হলে কিন্তু আমরা অজান্তেই বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি। এ ভাবে শত চেষ্টাতেও ওজন কমবে না। ডায়েটের সময় খুব বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না, অল্প অল্প করে খাবার বারে বারে খান।
৫) তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। খিদেও কম পায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy