Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Spondylitis Treatment

স্পন্ডিলাইটিসের যন্ত্রণায় অফিসে বসে থাকতে পারছেন না? ৫ টোটকা জানলেই যন্ত্রণাকে জব্দ করা যাবে

অনেকের ক্ষেত্রে ব্যথা কাঁধ থেকে পিঠ, কোমর এমনকি, হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। শিঁরদাড়ার উপরেও চাপ ফেলে স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথা। রেহাই মিলবে কী ভাবে?

symbolic image of spondylitis pain

কী করলে স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথায় মিলবে আরাম? ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৪৪
Share: Save:

অফিসের ডেস্কে বসে কম্পিউটারের সামনে কাজ করতে করতে টনটন করে উঠছে পিঠ, কাঁধ? কিংবা বাড়িতে একটানা টিভি দেখতে গিয়ে বা ঘুম থেকে উঠে ঘাড় ঘোরাতে গেলেই তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে? এ সব লক্ষণেই বুঝতে হবে শরীরে বাসা বেঁধেছে স্পন্ডিলাইটিস।

তবে সময় মতো চিকিৎসা করালে এই অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মেনে চলতে হয় কিছু ব্যায়াম ও নিয়ম। অনেকের ক্ষেত্রে ব্যথা কাঁধ থেকে পিঠ, কোমর এমনকি, হাত অবধি ছড়িয়ে যায়। শিঁরদাড়ার উপরেও চাপ ফেলে এই অসুখ।

কেবল ঘাড়ে ব্যথাই নয়, ব্যথার অংশ অবশ হয়ে যাওয়া, সূচ ফোটানোর মতো তীব্র যন্ত্রণাও স্পন্ডিলাইটিসের লক্ষণ। এই অসুখে আক্রান্ত হলে অনেকের আবার মাথাও ঘোরে। তবে ব্যথার হাত থেকে বাঁচতে কেবল ওষুধ খেলেই হবে না, মেনে চলতে হবে কিছু অভ্যাসও। কী করলে স্পন্ডিলাইটিসের ব্যথায় মিলবে আরাম?

১) ঘাড় বা পিঠ বেঁকিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বসার অভ্যাস বদলাতেই হবে। পেশার তাগিদে তেমন ভাবে বসতে হলে মাঝেমাঝেই উঠে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। খানিক ক্ষণ ঘাড়ের ব্যায়াম করে নিতে পারেন। চোখ ও কম্পিউটারের স্ক্রিন যেন সোজাসুজি থাকে, সে ব্যবস্থা করুন।

২) এই অসুখ শরীরে বাসা বাঁধলে ব্যায়াম ছাড়া উপায় নেই। এই অসুখ সামলাতে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে, বিশেষ করে কিছু স্ট্রেচিং। মাংসপেশিকে শক্ত রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ব্যায়াম করুন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রোগীকে বেল্ট, কলার বা বিশেষ ট্র্যাকশন নেওয়ার ব্যায়াম দেওয়া হয়। যোগাসন করেও এই রোগ দূর করা সম্ভব।

symbolic image of spondylitis pain

স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত হলে অনেকের আবার মাথাও ঘোরে। ছবি: সংগৃহীত।

৩) এই রোগে মাঝেমাঝেই ব্যথা বাড়ে। এ ক্ষেত্রে আপনি কী ভাবে ঘুমোচ্ছেন, সেটাও জরুরি। উপুড় হয়ে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। বালিশ ব্যবহার করা নিয়েও সচেতন হতে হবে। অনেকেই স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যায় বালিশ ছাড়া ঘুমোন। কখনওই বালিশ ছাড়া ঘুমোবেন না। নরম দেখে একটা বালিশ নিন, দেখবেন বালিশ যেন খুব বেশি উঁচু না হয়। ঘুম ভাঙার পর পাশ ফিরে উঠুন। সোজা উঠলে মেরুদণ্ডের উপর আরও চাপ পড়তে পারে।

৪) নিয়মিত গরম জলে স্নান করার অভ্যাস করতে। এতে ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। ব্যথার জায়গায় এক বার গরম জলের শেঁক দিন সঙ্গে সঙ্গেই আবার ঠান্ডা জলের শেঁক দিন। এই পদ্ধতিতেও ব্যথায় উপশম মেলে।

৫) ব্যথা বাড়লে আকুপানচারের সাহায্য নিতে পারেন। ব্যথা উপশমে কাজে লাগে এই পদ্ধতি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy