অন্যান্য ফলের চেয়ে তরমুজের উপকারিতা কিছুটা হলেও বেশি। ছবি: সংগৃহীত।
গরম পড়তেই বাজার ছেয়ে গিয়েছে তরমুজে। শরীরে জলের অভাব পূরণ করতে এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। জলের অভাব পূরণ করার পাশাপাশি শরীরে নানা খনিজের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে তরমুজ। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, যে কোনও মরসুমে যে কোনও ফল খাওয়া ভাল। তবে, তরমুজের উপকারিতা কিছুটা হলেও বেশি। তীব্র গরমে ঠান্ডা, শীতল পরশ দেওয়ার পাশাপাশি শরীরে আরও অনেক উপকারে লাগে তরমুজ।
প্রতি দিন তরমুজ খেলে কী উপকার হবে?
১) চোখের স্বাস্থ্য:
চোখের সমস্যা দূর করতে ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এক টুকরো তরমুজ থেকে প্রায় ৯ থেকে ১১ শতাংশ ভিটামিন এ পাওয়া যায়। চোখ ভাল রাখতে প্রতি দিন ওই পরিমাণ ভিটামিন এ শরীরে গেলেই যথেষ্ট।
২) শর্করার মাত্রা বজায় রাখে:
তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হল ৮০, যা এক বাটি কর্নফ্লেক্সের সমান। অতএব, তরমুজে ক্যালোরির পরিমাণ যথেষ্ট কম। ডায়াবিটিস রোগীরা মিষ্টিজাতীয় ফল খেতে ভয় পান। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই ফলের স্বাদ মিষ্টি হলেও তার গ্লাইসেমিক লোড ৫। যা রক্তে শর্করার উপর তেমন কোনও প্রভাবই ফেলে না।
৩) পর্যাপ্ত লাইকোপেন:
তরমুজের ভিতরের যে লালচে রং, তার উৎস হল এই লাইকোপেন। যা আসলে একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই লাইকোপেনের প্রভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তা-ই নয়, কিছু ক্ষেত্রে ক্যানসার প্রতিরোধী হিসাবেও কাজ করে এই যৌগ।
৪) হার্টের জন্য ভাল:
তরমুজে রয়েছে ‘সিট্রালিন’। যা আসলে এক প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি দেহে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা যায়।
৫) অস্থিসন্ধির যত্নে:
গবেষণা বলছে, ‘বিটা-ক্রিপ্টোজ়াথিন’ নামক একটি যৌগ বিভিন্ন রকম প্রদাহ থেকে অস্থিসন্ধিকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের মধ্যে এই ‘বিটা-ক্রিপ্টোজ়াথিন’ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy