Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Uric Acid

৫ ঘরোয়া টোটকা: নিয়ম করে খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না

খাওয়া কমালেই ইউরিক অ্যাসিড কমে না। তবে কিছু খাবার বা পানীয় নিয়ম মেনে খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ২৩:২৯
Share: Save:

ঘুম থেকে উঠতেই গাঁটে গাঁটে ব্যথা! হাত-পায়ের আঙুল মুড়তে না পারা! নেপথ্যে ইউরিক অ্যাসিড। বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছেন। ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য কী করা উচিত, আর কী উচিত নয়, এই প্রশ্ন বেশির ভাগেরই। সত্যিই কি ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে কড়া নিয়ম মেনে চলা বাধ্যতামূলক? চিকিৎসকেরা বলেন, খাওয়া কমালেই ইউরিক অ্যাসিড কমে না। তবে কিছু খাবার বা পানীয় নিয়ম মেনে খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

সকালে খালি পেটে কী খেলে ইউরিক অ্যাসিড বশে থাকবে?

১) হলুদ

দেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে এই অ্যাসিড জমতে শুরু করলে সমস্যা শুরু হয়। কাঁচা হলুদ এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান এবং কারকিউমিন। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই দু’টি জিনিস।

২) ধনে

অনেকেই শরীর ঠান্ডা রাখতে, ডিটক্স করতে জিরে বা ধনে ভেজানো জল খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই পানীয় কিন্তু ক্যালোরি পোড়াতে দারুণ কাজ করে। ফলে শরীরে বাড়তি মেদ জমতে পারে না। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতেও নাকি দারুণ উপকারী। এক গ্লাস জলে এক থেকে দুই চামচ গোটা ধনে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ছেঁকে সেই জল পান করুন।

৩) মেথি

ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে, ওজন কমাতে মেথি ভেজানো জল খুবই উপকারী। মেথিতে আছে ভিটামিন কে, থায়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি ৬। এ ছাড়াও রয়েছে কপার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জ়িঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ় ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ। ওজন কমাতে, শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে, গাঁটের ব্যথা কম করতে, হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও দারুণ সাহায্য করে মেথি। এক গ্লাস জলে এক চামচ মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে, সকালে ছেঁকে সেই জল পান করতে পারেন।

৪) আমলকি

আমলকির রসে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে পারে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ আমলকির রস মিশিয়ে খেলে উপকার পেতে পারেন।

৫) অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার

এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে ১ চা চামচ করে মধু ও ভিনিগার মিশিয়ে খেতে পারেন। অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। ইউরিক অ্যাসিডও কমাতে সাহায্য করে। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। প্রত্যেক মানুষের বিএমআর আলাদা হওয়ার দরুন ভিনিগার খাওয়ার মাত্রাও আলাদা হওয়াই স্বাভাবিক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE