ছবি: প্রতীকী
এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর পর্যন্ত সাঁতার শেখানোর মরসুম। পুজোর আগে ঋতু পরিবর্তনের সময়ে সাঁতার শেখানো বন্ধ হয়ে যায়। শিশুদের ঠান্ডাও লেগে যেতে পারে। তাই গরমকাল পড়তে না পড়তেই মেয়েকে সাঁতার শেখাতে পাড়ার সুইমিং পুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন অবন্তী। বছর পাঁচেকের সুমেধা স্কুলে যাওয়ার আগে রোজই সাঁতার কাটতে যায়। ঘণ্টা খানেক জলে দাপাদাপি করতে বেশ মজাই লাগে তার। খুব শরীর খারাপ না হলে একটি দিনও সাঁতার বন্ধ রাখতে চায় না। কিন্তু বেশ কিছু দিন হল জলে নামার কথা শুনলেই ভয়ে সিঁটিয়ে যাচ্ছে সে। জিজ্ঞাসা করলে বলছে, ব্যথা করছে। কিন্তু কোথায় ব্যথা করছে বা কী ভাবে সেখানে আঘাত লাগল, তা বলতে পারছে না কিছুতেই। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে তিনিই জানালেন এমন ব্যথা হওয়ার আসল কারণ। সুমেধাকে জলে ঝাঁপ দিতে শেখাচ্ছিলেন প্রশিক্ষক। সেই কায়দা রপ্ত করতে না পেরেই মাথায় এবং মেরুদণ্ডে চোট পেয়েছে সে। তা ছাড়া, জলের চাপে এমনিতেই গা-হাত-পায়ে ব্যথা হয়। তার উপর সমবয়সিরা একসঙ্গে থাকলে জলের মধ্যে ঠেলাঠেলি, হুড়োহুড়িতে কোথাও চোট লেগে যেতেই পারে। তাই পুলে নামার আগে কয়েকটি বিষয় ভাল করে জেলে রাখা জরুরি।
১) সাধারণ নাগরিকদের জন্য ব্যবহৃত সুইমিং পুলের বেশ কিছু নিয়ম থাকে। নির্ধারিত সময়, পোশাক, জলে নামার আগে এবং পরে কী করা উচিত বা নয়— সেই সব জেনে নিয়ে তার পর জলে নামা উচিত।
২) পুলের ভিতরে বা পুলের ধারে সন্তানকে ছুটোছুটি করতে দেবেন না। এই অঞ্চলগুলি সাধারণত পিছল থাকে। তাই পা ফস্কে পড়ে গিয়ে আঘাত লাগার আশঙ্কা বেশি।
৩) পুলের এক দিকের গভীরতা কম হয়। যে দিকের জল বেশি, সাধারণত সে দিক থেকেই ঝাঁপ দেওয়া শেখানো হয়। ঝাঁপ দিলেও তার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। তা রপ্ত করে তবেই ঝাঁপ দেওয়া যেতে পারে।
৪) শিশুরা জলের মধ্যে হুড়োহুড়ি করবেই। তবে ঠেলাঠেলি করতে গিয়ে অসাবধানে যদি লেগে যায়, তা তৎক্ষণাৎ বোঝা যায় না। সেই ব্যথা পরে কষ্ট দিতে পারে।
৫) প্রশিক্ষক না থাকলে সন্তানকে একা একা পুলে নামতে দেবেন না। যে হেতু সব জায়গায় জলের গভীরতা সমান নয়, তাই ডুবে গেলে ছোটদের তল পাওয়া মুশকিল হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy