Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Teenage

৫ খাবার: কৈশোর পেরনো সন্তানকে রোজ খাওয়ালে উচ্চতা, ওজন নিয়ে ভাবতে হবে না

কোন বয়সে কোন খাবারগুলি খেলে সঠিক পুষ্টি পাবে শরীর, তা বোঝা সম্ভব হয় না। তবে পুষ্টিবিদরা কয়েকটি খাবারের কথা জানিয়েছেন। যেগুলি কৈশোর পেরনো সন্তানকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাওয়ালে সুস্থ থাকবে শরীর।

Symbolic image.

কৈশোর পেরনো সন্তানের খাওয়াদাওয়ায় জোর দেওয়া জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৫৬
Share: Save:

কৈশোর আর তারুণ্যের মাঝের সময়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শরীরের যত্ন কেমন হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে বয়স বাড়লে স্বাস্থ্য কেমন থাকবে। তাই এই বয়সে খাওয়াদাওয়ায় বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি। সন্তানের যত্নে যাতে কোনও ত্রুটি না থেকে, সে দিকে কড়া নজর থাকে বাবা-মায়ের। কারণ, বেড়ে ওঠার সময়ে সঠিক পুষ্টি পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাবার না খেলে ওজনও অনেক সময়ে বয়সের তুলনায় কম হওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তবে কোন বয়সে কোন খাবার খেলে সঠিক পুষ্টি পাবে শরীর, তা বোঝা সম্ভব হয় না। পুষ্টিবিদরা কয়েকটি খাবারের কথা জানিয়েছেন। যেগুলি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাওয়ালে সুস্থ থাকবে শরীর।

দুগ্ধজাত খাবার

দুগ্ধজাত খাবারে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। হাড়ের খেয়াল রাখতে তাই দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে খেতে হবে। দুধ, ছানা, পনির, দই যত ঘন ঘন খাওয়া যাবে, হাড় তত মজবুত এবং শক্তিশালী হবে। সন্তান দুধ খেতে পছন্দ না করলে অন্য কোনও খাবার খাওয়াতে হবে, যাতে ক্যালশিয়াম আছে।

বাদাম

কাঠবাদাম, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, আখরোট— সব ধরনের বাদামে স্বাস্থ্যগুণের শেষ নেই। শরীরে প্রোটিন, ফ্যাট, খনিজ পদার্থ থেকে শুরু করে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের ঘাটতি মেটাতে বাদামের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা যায়। বাড়ন্ত বয়সে বাদাম যত বেশি খাওয়া যাবে, প্রতিরোধ ক্ষমতা তত শক্তিশালী হবে।

মিলেটস

মিলেট হল ভিটামিন বি, ই, মিনারেলস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনের মতো উপাদানের সমৃদ্ধ উৎস। মিলেট হজম করাও খুব সহজ। বিশেষ করে বাড়ন্ত বয়সে শিশুর শারীরিক গঠন মজবুত করতে মিলেট উপকারী। এ ছাড়া, হাড় ও পেশি দৃঢ় করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

কিনোয়া

মিলেটের মতো কিনোয়াতেও গ্লুটেন নেই। উপরন্তু কিনোয়াতে রয়েছে ভিটামিন বি, ই-এর মতো উপাদান। শিশু বেড়ে ওঠার পথে কিনোয়ার মতো খাবার কার্যকরী। ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিঙ্কে সমৃদ্ধ কিনোয়া পেশি থেকে হাড়, কোনও কিছুর খেয়াল রাখতে ভোলে না।

ওট্‌স

ছোট থেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। সে ক্ষেত্রে ওট্‌স উপকারী হতে পারে। ওটসে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ই, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়ামের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান। সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠায় যে উপাদানগুলি অত্যন্ত জরুরি ভূমিকা পালন করে। ওট্‌স ডায়াবিটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। স্থূলতার ঝুঁকিও কমায়।

অন্য বিষয়গুলি:

Teenage Diet Food
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE