৫ ধরনের পরীক্ষা মহিলাদের ৩০-এর পর করাতেই হবে। ছবি: সংগৃহীত।
পরিবারের বাকি সদস্যদের শরীর নিয়ে যতটা চিন্তিত থাকেন মহিলারা, নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে সাধারণত ততটাই উদাসীন তাঁরা। অথচ ঘরের কাজ, সংসারের দায়িত্ব কিংবা অফিসের চাপ, সবটাই একা হাতে সামলাতে হয় তাঁদের। শরীরের প্রতি দীর্ঘ দিনের অনিয়ম আর অযত্নের ফলে অজান্তেই জন্ম নেয় নানা ধরনের অসুখ। ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পর থেকেই মহিলাদের শরীরে হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করতে শুরু করে। আর ৩০ পেরোলেই শরীরে দেখা দিতে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যা। তাই চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন, বয়স তিরিশের কোঠা ছাড়ালেই স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হতে হবে মহিলাদের। প্রতি বছর নিয়ম করে কয়েকটি পরীক্ষা এই বয়সে করা জরুরি। কারণ, শরীরে যদি কোনও সমস্যা থাকেও, সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থাতেই ধরা গেলে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যাবে।
ডায়াবিটিস: বয়স বাড়লেই ডায়াবিটিসের আশঙ্কা থাকে, এই ধারণা কিন্তু ভুল। কম বয়সেও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই বয়স ৩০ পেরোলেই বছরে অন্তত এক বার করে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি।
থাইরয়েড এবং কোলেস্টেরল: পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েড হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই ৩০ পেরোনোর পর থাইরয়েড পরীক্ষা করা জরুরি। তবে শুধু থাইরয়েড নয়, পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক আছে কি না। সে ক্ষেত্রে বছরে অন্তত এক বার লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করাতে হবে।
ক্যানসার স্ক্রিনিং: অত্যন্ত দরকারি একটি পরীক্ষা। স্তন থেকে ডিম্বাশয়, এমনকি জরায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে মহিলাদের। তাই একটা বয়সের পর এই পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলি নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জরুরি।
হাড়ের স্বাস্থ্য: হাড় সংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ে পুরুষের চেয়ে মহিলারা বেশি ভোগেন। হাঁটুতে ব্যথা, আর্থরাইটিস, গাঁটে গাঁটে ব্যথা— এই ধরনের সমস্যাগুলি মহিলাদেরই বেশি হয়। তাই ৩০ পেরোনোর পর শরীরে ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামের মাত্রা পরীক্ষা করানো জরুরি। পাশাপাশি যদি ইউরিক অ্যাসিডের পরীক্ষাও করিয়ে নিতে পারেন, তা হলে আরও ভাল হয়।
চোখের পরীক্ষা: যন্ত্র-কেন্দ্রিক জীবনযাত্রায় কম বয়স থেকেই চোখের সমস্যা শুরু হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। একটু বয়স বাড়লে তো চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি মাত্রায় সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তাই বয়স যদি ৩০ পেরিয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে চোখের পরীক্ষা করা জরুরি। পাওয়ার বেড়েছে কি না, চশমা নিতে হবে কি না, সে ব্যাপারেও চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy