কড়াইশুটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ছবি- সংগৃহীত
কাঁচা অবস্থায় ডালের গোত্রে না পড়লেও গুণমানে কিন্তু তার চেয়ে কোনও অংশে কম নয় কড়াইশুঁটি। গোটা শীতকাল জুড়েই বাজারে আধিপত্য থাকে তার। নিরামিষ আলুর দম হোক বা পোলাও, সবেতেই দিতে হবে কড়াইশুঁটি। প্রোটিনে ভরপুর কড়াইশুঁটি খাওয়া যায় মাছ, মাংসের পরিবর্তেও। নিরামিষভোজী না হলেও পুষ্টিবিদরা এখন সকলকেই বেশি করে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খেতে পরামর্শ দেন। ভিটামিন, পটাশিয়াম, জ়িঙ্ক এবং ফাইবারের গুণে সমৃদ্ধ কড়াইশুঁটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আর কোন কোন উপকারে লাগে কড়াইশুঁটি?
১) হজমে সহায়তা করে
কড়াইশুঁটিতে থাকা ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সব্জিতে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়া, অন্ত্রের খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করে অন্ত্রকে সুস্থ থাকে। শুধু তা-ই নয়, কড়াইশুঁটি কোলন ক্যানসারের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমিয়ে আনতে পারে।
২) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
কড়াইশুঁটির গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক তুলনামূলক ভাবে কম। ডায়াবিটিস রোগীদের সব সময়ে এই ধরনের খাবার খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাই আশা করা যায়, এই সব্জি খেলে রক্তে শর্করা ভারসাম্য বজায় থাকবে।
৩) ত্বক ভাল রাখে
ভিটামিন বি৬, সি এবং ফলিক অ্যাসিডে ভরপুর কড়াইশুঁটি শরীরে যে কোনও প্রকারের প্রদাহ নাশ করতে সক্ষম। এ ছাড়াও ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখতে কড়াইশুঁটির জুড়ি মেলা ভার।
৪) ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে
হৃদ্যন্ত্রে জন্য খারাপ দু’টি যৌগ ‘ট্রাইগ্লিসারাইড’ এবং ‘ভিএলডিএল’-কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ‘নিয়াসিন’। এই ‘নিয়াসিন’-এর প্রাকৃতিক উৎস হল কড়াইশুঁটি। তাই নিয়মিত কড়াইশুঁটি খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে।
৫) উদ্ভিজ্জ প্রোটিন
যাঁরা প্রাণীজ প্রোটিন খেতে পারেন না, তাঁদের জন্য কড়াইশুঁটি বিশেষ ভাবে উপকারী। এ ছাড়াও সুস্থ থাকতে প্রতিদিন যেটুকু প্রোটিন খাওয়া প্রয়োজন, তার জন্য ইদানীং চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উপরই আস্থা রাখতে বলছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy