নিয়মিত কোন কসরতে ওজন ঝরবে দ্রুত? ছবি: শাটারস্টক।
পুজোর আগে অনেকেই ফিট হতে চাইছেন। তবে জিমে গিয়ে ঘন্টার পর ঘণ্টা কাটানোর জন্য সময় বার করে উঠতে পারেন না অনেকেই। জিমে গিয়ে ভারী ভারী ওজন তোলা অথবা ট্রেডমিলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দৌড়ে ঘাম ঝরানোই কিন্তু শরীরচর্চার একমাত্র উপায় নয়। শরীরের বাড়তি মেদ ছেঁটে ফেলার একমাত্র পথ জিমও নয়। ফিটনেসবিদদের মতে, নিয়ম করে হেঁটে, জগিং করে, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেও কিন্তু শরীর চাঙ্গা রাখা যায়।
হাতে খুব বেশি সময় না থাকলেও সারা দিনে মিনিট দশেক বার করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলেও কিন্তু ফিট থাকা সম্ভব। শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, মাংসপেশির গঠন এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে এই অভ্যাস খুব কাজে আসে। সিড়ি ওঠানামা করলে অনেক বেশি ক্যালোরি ঝরে। লিফ্ট ব্যবহার না করে এই কসরতটি নিয়ম করে করলেও হ্যামস্ট্রিংয়ের জোর বাড়ে। সিড়ি ওঠানামা করলে আর কী কী সফল মেলে?
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ: দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসে ভুগলে এই ব্যায়াম নিয়মিত করে উপকার পেতে পারেন। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি কসরতেও নজর দিতে হবে।
মাইগ্রেনের সমস্যার সমাধান: যাঁরা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরাও রোজ খানিকটা সময় বার করে সিড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হলে মস্তিষ্কেও রক্ত ঠিকঠাক পৌঁছয়। ফলে মাইগ্রেনের মতো সমস্যা থেকে রেহাই মেলে।
মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে: মাঠে দৌড়নো কিংবা জগিংয়ের বদলে নিয়ম করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময়ে শরীরের মাংসপেশিগুলি অনেক বেশি সক্রিয় হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশ মেদমুক্ত করার জন্য এই কসরত দারুণ উপকারী।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে হৃদ্যন্ত্র ভাল থাকে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই ব্যায়াম উপকারী। এই কসরতের ফলে ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় এবং হৃদ্স্পন্দন স্বাভাবিক থাকে।
মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল: সিড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে হরমোন গ্রন্থি থেকে ভাল হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। যার ফলে মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। মনমেজাজও ভাল থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy