প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ব্যক্তিগত জীবন হোক কিংবা পেশাগত, নিজের সামগ্রিক উন্নতি সাধনে আত্মবিশ্লেষণ করা জরুরি। কাজ থেকে ফিরে সারা দিন পর একা বসে নিজেকে ভাবা, নিজেকে সময় দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সারা দিন কী করলেন বা কী কী করতে পারলেন না— সে সব নিয়ে ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন মনোবিদেরাও। তবে নিজেকে নিয়ে, নিজের কাজ নিয়ে ভেবে দেখা বা সুস্থ চিন্তা করা এবং ক্রমাগত অন্যের সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর তুলনা করার মধ্যে যে সূক্ষ্ম ফারাক রয়েছে, তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। এমন চিন্তাভাবনা কিন্তু আসলে মনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এমন কোন কোন কাজ কাউকে মানসিক দিক থেকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিতে পারে?
১) নিভৃতবাস
নিজেকে সকলের থেকে সরিয়ে নিলে একাকিত্ব বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন বা সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা, কথা বলা জরুরি। নিজেকে সময় দেওয়া ভাল। তবে তা যেন আপনাকে উদ্বেগ, অবসাদের চক্রব্যূহে ঠেলে না দেয়।
২) আত্মসমালোচনা
পেশাগত, ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য রাখতে গেলে আত্মসমালোচনা করা জরুরি। কিন্তু সেই সমালোচনার জের আপনার মনের জোর যেন কমিয়ে না দেয়। আপনি কী পারেন, আর কতটা পারেন সেই বিশ্বাস যেন থাকে।
৩) অন্যের সঙ্গে তুলনা
নিজের সঙ্গে অন্যের তুলনা করলেও অনেক সময় আত্মবিশ্বাস নষ্ট হতে পারে। অন্যের যা আছে, আপনার কাছে কেন সেটি নেই বা একই রকম পরিশ্রম করে সে যা পেল, আপনি কেন তা পেলেন না, এ সংক্রান্ত তুলনা কিন্তু মনের জন্য ভাল নয়।
৪) সমাজের চোখে কতটা সুন্দর
সুন্দর পোশাক পরে, সাজগোজ করে শুধু বাইরে থেকে সুন্দর হওয়া যায়। সমাজের চোখে আপনি কতটা সুন্দর, তা দিয়ে কিন্তু আপনার মনের সৌন্দর্য মাপা যায় না। তাই লোকে কী বলবে, সে কথা ভেবে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা উচিত নয়।
৫) ক্ষমাশীল
ভুল করলে অন্যায় স্বীকার করে নিন। কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়াই শ্রেয়। তবে, অতিরিক্ত ক্ষমাশীল হওয়ার প্রবণতাও কিন্তু আত্মপ্রত্যয় নষ্ট করে দেয়। অন্যের চোখে নিজেকে ছোট দেখানো কখনওই সম্মানের হতে পারে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy