গভীর রাতে খিদে পেলে কয়েকটা আমন্ড বাদাম খেয়ে নিতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
গভীর রাত অবধি জেগে থাকার অভ্যাস এখন অনেকেরই। অনেকে এমনও আছেন যাঁদের অফিসের কারণে রাত জাগতে হয়। সে সব ক্ষেত্রে রাতে ভরপেট খেলেও মাঝ রাতে আবার খিদে পেয়ে যায়। পুষ্টিবিদরা বলেন এই খিদে অনেকটাই মনের খিদে। আর এই ফাঁদে পা দিয়েই চিপস্, কেক, চকোলেট খেয়ে ফেললেই বিপদ! এ ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কেউ কেউ আবার খিদে চেপে রেখেই শুতে চলে যান। এতেও কিন্তু ক্ষতি হয়।
তা হলে মাঝরাতে কী খেলে খিদেও মিটবে আর ওজনও বাড়বে না?
১) অনেকেই ভাবেন কলা খেলেই মোটা হয়ে যাবেন। এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। এই ফল খেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার আছে যা দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখে। তখন অন্য খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও কমে যায়। ফলে ওজন বাড়ার ভয়ও কমে।
২) গভীর রাতে খিদে পেলে কয়েকটা আমন্ড বাদাম খেয়ে নিতে পারেন। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম। এই বাদামে একসঙ্গে রয়েছে ফাইবার আর প্রোটিন। এই দুই উপাদানই ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট।
৩) এ ক্ষেত্রে পিনাট বাটারও আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতেই পারে। প্রোটিনে ভরপুর চিনাবাদাম পেশি তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে মজুত ট্রিপটোফান ঘুমের মধ্যেই ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পিনাট বাটার খেলেই কমবে ওজন। কলার সঙ্গে এই মাখন খেলে আরও ভাল ফল পাওয়া যায়। কলায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। ট্রিপটোফানের সঙ্গে মিশে এই দুই উপাদান আরও তাড়াতাড়ি ওজন কমায়।
৪) দই ঘুমের মধ্যে পেশি গঠনের জন্য দই খুব ভাল। রাতে এক বাটি দই খেলে দ্রুত হজম হয়। দইয়ে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকার কারণে ওজন হ্রাস করতেও এটি খুব কার্যকর। তবে মিষ্টি দই নয়, টক দই কিংবা গ্রিক ইয়োগার্ট খেলেই মিলবে সুফল।
৫) রাতে খাবার পরেও যদি খিদে পায় সে ক্ষেত্রে ছানা খাওয়া যেতে পারে। প্রোটিনে সমৃদ্ধ ছানা মানব দেহে পেশি সুগঠিত করতে সাহায্য করে। ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে মাত্র দু’চামচ ছানা খেলে বিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy