— প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘ চেষ্টার পরেও সন্তানধারণ করতে পারছিলেন না রাহুল-পিয়ালি। বিয়ের ছ’বছর হয়েছে। এক বছর ধরে চেষ্টা করেও সন্তান নিতে না পাওয়ায় চিকিৎসকের কাছে যেতে হল তাঁদের। চিকিৎসক দু’জনেরই বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করালেন। রিপোর্ট আসার পর জানা গেল, রাহুলের শুক্রাণুর গুণগত মান ভাল নয়। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকেরা জানালেন, জীবনধারায় অনিয়মের কারণেও এই সমস্যা হচ্ছে রাহুলের।
এই সমস্যা রাহুলের একার নয়। প্রজনন সংক্রান্ত বিষয় অনেক ছেলেরাই সচেতন নন। বাবা-মা হওয়ার আগে যেমন মেয়েদের নিজেদের প্রজনন স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন, একই ভাবে ছেলেদেরও কিন্তু পরিবার পরিকল্পনা শুরু করার আগে প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। জেনে নিন, বাবা হওয়ার আগে কোন কোন বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে পুরুষদের।
১) বীর্য পরীক্ষা: বীর্যের নমুনা সংগ্রহ করে শুক্রাণুর সংখ্যা, আকার, আকৃতি পরীক্ষা করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা করার আগে এই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভাল।
২) এসটিআই স্ক্রিনিং: কোনও যৌনরোগে আক্রান্ত হলে তার প্রভাব প্রজনন ক্ষমতার উপরেও পড়ে। তাই যৌনস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য কন্ডোমের ব্যবহার ভীষণ জরুরি। কোনও যৌনরোগ হয়েছে কি না, তা-ও মাঝেমধ্যে পরীক্ষা করে দেখা দরকার। আগে থেকে যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকলে সন্তানধারণের সময় ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
৩) ওজন নিয়ে সচেতনতা: ওজন বেশি হলে তার প্রভাব পড়ে শুক্রাণুর গুণগত মান ও সংখ্যার উপর। তাই বাবা হওয়ার আগে নিজের ওজন নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে ও শরীরচর্চায় মন দিতে হবে।
৪) নিয়মিত যৌনক্রিয়া: নিয়মিত যৌনক্রিয়া করলে শুক্রাণুর গুণগত মান ভাল হয়। ঘন ঘন বীর্যপাত হলে শুক্রাণুর সংখ্যাও বাড়ে। তাই নিয়মিত মিলনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
৫) অন্য কোনও রোগ আছে কি না যাচাই করে নেওয়া: বাবা হওয়ার পরিকল্পনা করার আগে শরীরে কোনও ক্রনিক অসুখ যেমন ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, অটোইমিউন ডিজ়অর্ডার কিংবা জিনগত কোনও রোগ আছে কি না, তা যাচাই করা জরুরি। এই রোগের প্রভাবও কিন্তু পড়তে পারে শুক্রাণুর উপর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy