— প্রতীকী ছবি।
ডায়াবিটিস নেই। তবে পারিবারিক ইতিহাস থাকলে আগে থেকেই মেপে চিনি খান অনেকে। যে কোনও রান্নায় একটু বেশি চিনি হয়ে গেলেই বাড়ি মাথায় তোলেন। এই বাড়তি চিনিই নিঃশব্দ ঘাতকের মতো শরীরে গিয়ে এমন সব রোগ ডেকে আনতে পারে, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। তাই স্বাস্থ্যসচেতন মানুষজন ইদানীং চিনির বিষয়ে বাড়তি সচেতন হয়েছেন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চিনির পরিমাণ এই সচেতনতা থাকা ভাল। তবে সমস্যা হল অতিরিক্ত চিনি শুধু রান্নায় দেওয়া চিনি বা মিষ্টি থেকে আসে না। এমন অনেক খাবার, রান্নার উপকরণ রয়েছে যেগুলি অজান্তেই রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে।
১) কেচাপ, সস্
রান্নায় ব্যবহৃত বিভিন্ন রকম সস্ বা কেচাপের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি থাকে। বারবিকিউ সস্, পাস্তা সস্ বা টম্যাটো কেচাপে প্রায় ৪ থেকে ১০ গ্রাম চিনি থাকে।
২) গ্র্যানোলা বার
বিকেল বা সন্ধ্যায় ‘খুচরো’ খিদে পেলে স্বাস্থ্যকর ‘প্রোটিন বার’ বা ‘গ্র্যানোলা বার’ খেয়ে থাকেন অনেকে। শরীরচর্চা করার পরও পুষ্টিকর উপাদেয় হিসাবে এই ‘বার’ খান। স্বাদ বাড়িয়ে তোলার জন্য এই ধরনের বারগুলিতে কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ চিনি ব্যবহার করা হয়।
৩) প্যাকেটজাত ফলের রস
বেশির ভাগ প্যাকেটজাত ফলের রসে কৃত্রিম শর্করা মেশানো থাকে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এক কাপ ফলের রসে শর্করার পরিমাণ প্রায় ২৪ গ্রাম। যা ছয় চা চামচ চিনির সমান।
৪) ইয়োগার্ট
সাধারণ ইয়োগার্ট খেতে ভাল লাগে না। বদলে নানা রকম ফলের কৃত্রিম স্বাদ, বর্ণ এবং গন্ধযুক্ত ইয়োগার্ট খেয়ে থাকেন অনেকেই। পুষ্টিবিদদের মতে, এক কাপ ইয়োগার্টে চিনির পরিমাণ প্রায় দু’স্কুপ চকোলেট আইসক্রিমের সমান।
৫) আইস্ড টি
তেষ্টায় গলা শুকিয়ে কাঠ হলেও ঠান্ডা নরম পানীয় খান না। এ দিকে ফ্রিজে রাখা ‘আইস্ড টি’ খেয়ে ফেলেন নিশ্চিন্তে। কিন্তু জানেন না যে এক কাপ ‘ফ্লেভার্ড আইস্ড টি’-তে প্রায় আট চা চামচের সমান চিনি থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy