Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
liver health

মদ না খেলেও ৫ অভ্যাসের কারণে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে লিভারের অসুখ

কম তেলমশলার খাবার খাওয়া, বাড়ির খাবারে অভ্যস্ত হওয়া, মদ না খাওয়া— এই অভ্যাসগুলিই লিভারকে ভাল রাখার অন্যতম উপায়। কথাটা খুব একটা ভুল নয়। তবে এগুলিই শেষ কথা নয়। লিভার ভাল রাখতে মেনে চলতে হয় আরও কিছু নিয়মকানুন। কিন্তু কী কী?

৫ অভ্যাস অজান্তেই লিভারের ক্ষতি করছে।

৫ অভ্যাস অজান্তেই লিভারের ক্ষতি করছে। ছবি: শাটারস্টক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৪৪
Share: Save:

জীবনযাপনে নানা অনিয়মের কারণে লিভারের অসুখ এখন ঘরে ঘরে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের কিছু বদভ্যাস ও ভুলের কারণেই শরীরে বাসা বাঁধে লিভারের অসুখ। শিশুদের ক্ষেত্রেও তাদের বাবা-মায়েরা যদি প্রথম থেকেই সচেতন হন, তা হলে জীবনশৈলীর উপর ছোটবেলা থেকেই একটা নিয়ন্ত্রণ তৈরি হবে। বড়দেরও উচিত লিভার ভাল রাখার উপায়গুলি আয়ত্তে আনা। অনেকের মতে, কম তেলমশলার খাবার খাওয়া, বাড়ির খাবারে অভ্যস্ত হওয়া, মদ না খাওয়া— এই অভ্যাসগুলিই লিভারকে ভাল রাখার অন্যতম উপায়। কথাটা খুব একটা ভুল নয়। তবে এগুলিই শেষ কথা নয়। লিভার ভাল রাখতে মেনে চলতে হয় আরও কিছু নিয়মকানুন। কিন্তু কী কী?

চিনির সঙ্গে আড়ি করুন: সহজে রোগা হতে চেয়ে অনেকেই নিজের খুশি মতো ডায়েট প্ল্যান বানিয়ে নেন। চিনি এড়াতে কৃত্রিম চিনির উপরেই ভরসা করেন। এই মনোভাব আগে বর্জন করুন। এতেই আসলে চরম ক্ষতি করছেন শরীরের। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের লিভারের ব্যাপক ক্ষতি করে। ফ্রুকটোজ বা কৃত্রিম চিনি লিভারের অসুখ ডেকে আনে। খাদ্যতালিকায় প্রাকৃতিক শর্করা জাতীয় খাদ্য রাখুন।

ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন: শরীরে কার্বহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাটের সঠিক ভারসাম্য রাখা ভীষণ জরুরি। ইদানীং বাড়ির খাবারের তুলনায় রেস্তরাঁর খাবার, বাইরের ভাজাভুজি, প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে ঝোঁক বেড়েছে। আর এর জেরেই ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়ছে শরীরে। লিভারের শত্রু হল ট্রান্স ফ্যাট। লিভারের চারপাশে জমতে থাকে এই ফ্যাট। ফলে এই অঙ্গের কার্যকারিতা হ্রাস পায়। তাই খাদ্যতালিকায় পরিমিত মাত্রায় ট্রান্স ফ্যাট রাখুন।

কথায় কথায় বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন: বেশ কিছু পেনকিলার লিভারের উপর কুপ্রভাব ফেলে। টাইলেনল বা কোলেস্টেরলের ওষুধও লিভারের প্রভূত ক্ষতি করে। তাই নিজের চিকিৎসা নিজে না করাই ভাল। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথার ওষুধ খাওয়া চলবে না। অনেকেই ঘুম না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ঘুমের ওষুধ খেতে শুরু করেন। এই অভ্যাসের কারণে লিভারের জটিল রোগে ভুগতে হতে পারে।

শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেবেন না: শরীর থেকে যতটা টক্সিন বার করে দিতে পারবেন, লিভার ততটাই সুস্থ থাকবে। তাই বেশি করে জল খেতে হবে। তবেই প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যাবে। দিনে কয়েক বার গরম জলে পাতিলেবুর রস দিয়ে সেই জল খান। ডায়েটে রাখুন টক দইয়ের মতো প্রোবায়োটিক। টুকটাক অনিয়ম সামাল দিতে এরাই আপনার সহায়। তেল-মশলাদার খাওয়াদাওয়া হলেই ডায়েটে এদের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।

মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন: মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন লিভারের ক্ষতি করে। মানসিক চাপ, বা মনখারাপ ভুলতে অনেকেই খাবার বা মদের মধ্যে নিজেদের মুক্তি খুঁজে পান। এই অভ্যাস থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে ধ্যান করুন, মনোবিদের সঙ্গে পরামর্শও করতে পারেন।

অন্য বিষয়গুলি:

liver health Liver damage symptoms
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy