কেশর ভেজানো জল খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
যতই দাম হোক, বিরিয়ানি কিংবা পোলাওয়ের মতো পদে কেশর ভেজানো দুধ কিংবা জল না দিলেই নয়। তবে, শুধু খাবারের স্বাদ, গন্ধ কিংবা বর্ণের জন্যই যে কেশরের চাহিদা রয়েছে এমনটা নয়। কাশ্মীরের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে চাষ হয় বিশেষ এই ফুল। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে কেশর বা জাফরানের মান ভাল হয় না।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, জাফরানের বিশেষত্ব তাঁর রং। রান্নায় কেশর বা জাফরান দিলে তার স্বাদই পাল্টে যায়। তবে, এই জিনিসটির পুষ্টিগুণও কম নয়। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতেও এটি অত্যন্ত উপকারী। প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে কেশরে। এতে উপস্থিত ক্রোসিন আর ক্রোসেটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। মানসিক অবসাদও কমায়। রক্তের শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে এই মশলা। অনেকেই উষ্ণ দুধে কেশর মিশিয়ে খান। তবে সামান্য কেশর সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালি পেটে সেই পানীয় খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
১) ঋতুঃস্রাবের সময় অনেকেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করেন। এ ক্ষেত্রে কেশর জল দারুণ আরাম দেয়। দেহে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতেও এই পানীয় দারুণ উপকারী।
২) কেশরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বার করে দেয়। যখন জলে মিশ্রিত করা হয়, তখন এই পানীয়টি আমাদের ত্বককে হাইড্রেট করতে এবং ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ব্রণ, ত্বকের অন্যান্য সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
৩) কেশর হল ক্রোসিন, সাফরানাল এবং পিক্রোক্রোসিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের একটি শক্তিশালী উৎস, যা অনিদ্রার মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৪) কেশর শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ায়। আর বিপাকক্রিয়া বাড়লেই মেদ কম জমে। তাই কেউ যদি ওজন কমাতে চান, তা হলে খাদ্যতালিকায় কেশর রাখা যেতেই পারে।
৫) রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও এই পানীয়টির জবাব নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy