নিয়মিত জিমে যাওয়া হয় না। বাড়িতে ধরে ধরে যোগাসন করতেও যথেষ্ট সময় লাগে। কাজের চাপে কোনওটিই নিয়মিত অভ্যাস করা হয় না। কিন্তু একেবারে শরীরচর্চা না করলেই নয়। তাই সপ্তাহে এক দিন হলেও পাড়ার সকলে মিলে ছুটির দিনে সাইকেল চালান। বাইরে ঘুরলে মনও ভাল থাকে। সাইকেল চালালে গোটা শরীরের ব্যায়ামও হয়। শুধু কি তাই? বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, নিয়মিত সাইকেল চালালে ক্যানসারের মতো মারণরোগের ঝুঁকিও অনেকখানি কমে যায়। সাইক্লিং করলে আর কী কী উপকার হয়?
আরও পড়ুন:
১) নিয়মিত সাইকেল চালালে অ্যাড্রেনালিন এবং এন্ডরফিন হরমোনের মাত্রা ঠিক থাকে। এই দু’টি হরমোনই মনের জোর, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সাইক্লিং অবসাদের মতো রোগ দমন করতেও সাহায্য করে।
২) আমেরিকার অ্যালপাচিয়ান স্টেট ইউনিভার্সিটি-র গবেষকেরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল রাখতে সাহায্য করে এই ব্যায়াম। সর্দি-কাশি বা ফুসফুসে সংক্রমণজনিত সমস্যা নিরাময়ে সাইক্লিং অব্যর্থ একটি ব্যায়াম।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিবারাত্রি মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন। গুচ্ছের টাকা খরচ করে জিমে ভর্তি হন অনেকেই। তবে, কম খরচে ক্যালোরি ঝরানোর সবচেয়ে ভাল পন্থা হল সাইকেল চালানো।

নিয়মিত সাইকেল চালালে অ্যাড্রেনালিন এবং এন্ডরফিন হরমোনের মাত্রা ঠিক থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) শুধু মেদ ঝরানোই নয়, দেহের পেশিগুলি সচল রাখতে হলে নিয়মিত সাইকেল চালানোই যায়। পেট, কোমরের মেদ নিয়ে সকলে যত চিন্তা করেন, পা নিয়ে তত ভাবেন না। এই একটি ব্যায়ামেই পদযুগল ‘টোন্ড’ হয়ে উঠতে পারে।
৫) সাইক্লিং করলে হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায়। ফলে গোটা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অফ গ্লাসগো-র গবেষকেরা পাঁচ বছর ধরে আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষের উপর সমীক্ষা করে জানাচ্ছেন, নিয়মিত সাইক্লিং করলে হার্ট সংক্রান্ত বহু সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।