রোজ সকালে খালি পেটে এক টুকরো আমলকি। ব্যস, তাতেই নীরোগ হবে শরীর। শতাব্দীপ্রাচীন এই আয়ুর্বেদিক টোটকার গুণ অনেক! এখন অনেকেই খালি পেটে আমলকির রস খান। সর্দিকাশি তো দূরে থাকেই, এমনকি ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের হাত থেকেও বাঁচায় আমলকি। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায়, এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের আর কোন কোন কাজে সাহায্য করে এই ফল?
আরও পড়ুন:
১) আমলকিতে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন সি রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে এই উপাদান। সংক্রমণজনিত সমস্যা রুখে দিতে নিয়মিত আমলকির রস খেতে হবে।
২) আমলকিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। এই উপাদানটি দেহে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না।
৩) হজমে সহায়ক উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে আমলকি। তা ছাড়া এই ফলে সহজপাচ্য ফাইবারও রয়েছে। অন্ত্র ভাল রাখতে এই উপাদান যথেষ্ট সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
৪) রক্তে ইনসুলিন কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। ডায়াবিটিসের সঙ্গে লড়াই করতে হলে আমলকিকে সঙ্গী করতে হবে।
৫) মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল ভাল না হলে চুলও নির্জীব হয়ে পড়বে। চুলের ফলিকলে পুষ্টি পৌঁছবে না। আমলকির রস খেলে এই ধরনের সমস্যা রুখে দেওয়া যেতে পারে। তাতে নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনাও তৈরি হয়।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে খাবেন?
সকালে খালি পেটে আমলকির রস খেতে পারেন। তবে রসের পরিমাণ ১০ মিলিগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। আবার আমলকি রোদে শুকিয়েও খেতে পারেন। আমলকি ছোট টুকরো করে কেটে তার উপর নুন ও গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে রোদে শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।