— প্রতীকী চিত্র।
প্রসব-পরবর্তী সময়ে নতুন মায়েদের অবসাদের বিষয়টি নতুন নয়। ‘পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন’-এ আক্রান্ত মায়েদের চিকিৎসার কথা ভেবেই প্রথম বার ‘জুরানোলোন’ নামক একটি খাওয়ার ওষুধকে স্বীকৃতি দিল আমেরিকার খাদ্য এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘এফডিএ’। আগে ইন্ট্রাভেনাস ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা হত। মানসিক অবসাদে থাকাকালীন ইঞ্জেকশন নিতে যাওয়ার আগ্রহ হারাতেন অনেক মা-ই। ফলে রোগ সারানোর আগেই চিকিৎসা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যেত।
এক দিকে সারা ক্ষণ সদ্যোজাতের দেখাশোনা করা, অন্য দিকে প্রতিনিয়ত নিজের শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারা। এই সমস্ত ঝক্কি সামাল দিতে না পেরে ক্রমশ অবসাদের অন্ধকারে ডুবতে থাকেন অনেকেই। দৈনন্দিন কাজে অনীহা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা, মনমেজাজ বিগড়ে যাওয়া, আচরণগত সমস্যা— এ সবই পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশনের লক্ষণ হতে পারে। “কারও কারও ক্ষেত্রে এই ধরনের মানসিক অবসাদ এতটাই গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছয় যে, নিজেকে এবং সদ্যোজাতকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অনেকে। যদি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় থাকাকালীন হবু মা এই ধরনের অবসাদে আক্রান্ত হন, সে ক্ষেত্রে ভ্রূণের ক্ষতিও অসম্ভব নয়,” বলে জানান ‘এফডিএ’র মনোরোগবিদ্যা বিভাগের ডিরেক্টর টিফানি আর. ফারশিয়োন।
সদ্য মা হয়েছেন, এমন অনেককে নিয়ে একটি বিশেষ সমীক্ষা করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, মাত্র ১৪ দিনের ওষুধ প্রয়োগে এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, এই সমীক্ষায় আশানুরূপ ফল মেলার পরেই খাওয়ার জন্য বিশেষ এই ওষুধটিকে সাধারণের জন্য বাজারে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy