জাপানি কায়দায় ঝরিয়ে ফেলুন মেদ!
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে জলের গুরুত্বের কথা কমবেশি সকলেই জানেন। বিশেষত গরমকালে ডিহাইড্রেশন এড়াতে, শরীরকে তরতাজা রাখতে সারাক্ষণই জল খাওয়ার নিদান দেন চিকিৎসকেরা। তবে জল খেয়ে ওজন কমানোও সম্ভব, সে খবর রাখেন কি? অনেকেই হয়তো এই প্রথম শুনছেন ওয়াটার থেরাপির কথা। শুনবেনই বা কী করে, এই থেরাপির জন্ম তো সেই সুদূর জাপানে!
স্বাস্থ্যসচেতন জাপানিরা দীর্ঘ কাল ধরেই রোগা হওয়ার দাওয়াই হিসেবে এই জলের টোটকা ব্যবহার করে আসছেন। ঈষদুষ্ণ জলে লেবু আর মধু ফেলে আমরা অনেকেই খাই। আর তাতে কাজও হয়। কিন্তু ‘ওয়াটার থেরাপি’ এর থেকে অনেকটাই আলাদা। কী ভাবে জলকে ওজন ঝরানোর দাওয়াই হিসাবে ব্যবহার করা যায় রইল সেই হদিস।
শরীরের বেশির ভাগ সমস্যাই শুরু হয় পেটের গোলমালের কারণে। নিয়ম মেনে ওয়াটার থেরাপি করলে পেট পরিষ্কার থাকে, হজমশক্তির উন্নতি হয়। এই থেরাপি অনুযায়ী সকালে ঘুম থেকে উঠেই পরিমিত মাত্রায় জল খেতে হবে। হজমশক্তি ফিরিয়ে আনার এবং শরীরের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রায় একশো বছরের বেশি সময় ধরে জাপানিরা এই টোটকায় বিশ্বাস রেখে আসছেন। ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে।
নিয়ম-বিধি:
১) সকালে উঠেই খালি পেটে চার থেকে পাঁচ গ্লাস জল খেতে হবে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করবে খালি পেটে এই অভ্যাস।
২) দাঁত ব্রাশ করার আগেই জল খেয়ে নিতে হবে। জল খাওয়ার ৪৫ মিনিটের মধ্যে কিছুই খাওয়া যাবে না। ৪৫ মিনিট পর প্রাতরাশ করতে পারেন।
৩) দিনের যে কোনও খাবার ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে খাওয়া যাবে না। এক বার খাবার খাওয়ার পর কোনও ভাবেই দু’ঘণ্টা জল বা অন্য কোনও খাবার খাওয়া চলবে না।
৪) শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলে বা বার্ধক্যজনিত কারণে হঠাৎ সকালে অনেকেই হয়তো চার গ্লাস জল একবারে খেতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আস্তে আস্তে জলের পরিমাণ বাড়ান। প্রথমে শুরু করুন সকালবেলা বাসি মুখে এক গ্লাস জল দিয়ে।
৫) এই থেরাপি চলার সময় জল হোক বা অন্য কোনও খাবার— কখনওই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাবেন না।
এই থেরাপি শুরু করলে কয়েক দিনের মধ্যেই হাতেনাতে ফল পাওয়া যাবে। চিকিৎসকদের মতে, এর ফলে বিপাকের হার বাড়ে। সঠিক ভাবে কাজ করে পরিপাকতন্ত্র। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই শরীর থেকে ঝরে যাবে অতিরিক্ত মেদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy