হাঁটুর ব্যথা বলে বয়স্কদের বাড়িতে বন্দি করে রাখা ঠিক নয়! ছবি: সংগৃহীত
হাঁটু-কোমরের ব্যথায় নাস্তানাবুদ, এ দিকে প্যান্ডেলে ঘোরার বায়নায় বাড়ির খুদেদের থেকে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই তাঁরাও। কেউ আবার পুজোর ক’দিন বাড়িতে খেতে নারাজ, অসুস্থতা সামলেও বাইরে খেতেই তাঁদের আনন্দ বেশি। উৎসবের আমেজে পরিবারের বয়স্ক মানুষদের ভাল রাখার উপায় কী?
বাড়ির খুদে মানুষটি থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সকলের মন খুশিতে ভরা। উৎসবের আনন্দে তাঁরাও মশগুল। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, হার্টের অসুখ নিয়েও বৃদ্ধ বাবা-মা অথবা ঠাকুমা-দাদুর পুজোটা কী ভাবে আনন্দে কাটবে ভাবছেন? কোনও আচমকা বিপদ এলে কী ভাবে সামলাবেন অথবা সমস্যা প্রতিরোধে কী করবেন সেগুলো আগে থেকে জানা থাকলে মোকাবিলা করা সহজ।
১) হাঁটুর ব্যথা বলে তাঁদের বাড়িতে বন্দি করে রাখা ঠিক নয়! গাড়িতে করে বেরিয়ে পরে প্যান্ডেলের ভিতর অবধি না যেতে পারলেও আলোকসজ্জা তো দেখতেই পারেন। এক বার পারিবারিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে রাখুন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক বললে বাড়ির বাইরে গেলে নি-ক্যাপ, লাম্বার বা সারভাইকাল বেল্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সারা দিন কখনওই পরে থাকা উচিত নয়।
২) হাঁটার সময় ব্যথায় কাবু হলে নিরাপদ দু’-একটা ব্যথার ওষুধ সঙ্গে রাখুন তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। নিতান্ত প্রয়োজন না হলে ওষুধ মানা।
৩) উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখের জন্য অনেককেই নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। পুজোয় আনন্দের মাঝে ওষুধ খেতে যেন কোনও রকম ভুল না হয় সে দিকে নজর রাখুন। প্রয়োজনে ফোনে নির্দিষ্ট সময়ের অ্যালার্ম দিয়ে রাখতে পারেন।
৪) এই সময়ে হাউজিং বা পাড়ার পুজোয় সকলে একসঙ্গে খাবার একটা চল আছে। বেশি মশলাদার খাবার বয়স্কদের ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলাই ভাল। দরকারে অ্যান্টাসিড খেতে হবে। এক বেলা বাইরে খেলেও অন্য সময় বাড়িতে খেলে ভাল হয়। আর খাবারের পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর রাখতে হবে।
৫) অনেক সময় বয়স্ক মানুষরা নিজেকে অপ্রয়োজনীয় মনে করেন। উৎসবের মাঝেও তাঁদের মুখে হাসি ফোটে না। পুজোর সময়েও নিজেকে গৃহবন্দি করে রাখেন। এমনটা হলে পুজোর ছুটিতে তাঁদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলে তাঁদের একাকিত্ব কাটানোর চেষ্টা করুন। বুঝিয়ে সুজিয়ে সঙ্গে করে পুজো দেখাতে নিয়ে যেতে হবে আপনাকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy