ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হলে ডায়েটে কী রাখবেন?
কোভিড ছাড়াও বর্ষার মরসুম শুরু হতেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় ডেঙ্গি বাড়ছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের কিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ডেঙ্গি হলে রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যায়। সেই সঙ্গেই ডায়রিয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন হয়। এই রোগে শরীরে প্রচুর জলের প্রয়োজন। ডেঙ্গি হলে তাই বাচ্চা, প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই ডায়েটে প্রচুর পরিমাণ জল বা তরল খাবার রাখা প্রয়োজন।
এ ছাড়া খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জিনিস মাথায় রাখলে দুর্বলতা খানিক কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এই সময়ে কী খাবেন, রইল সে হদিস।
১) পেঁপেপাতার রস: পুষ্টিবিদদের মতে পেঁপেপাতার রস রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা বাড়াতে সাহায়্য করে। ডেঙ্গির প্রকোপে শরীরে অনুচক্রিকার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পায়। পেঁপেপাতার রস বানিয়ে জলের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চার বার খেতে পারলেই রক্তে অনুচক্রিকার মাত্রা স্বাভাবিক হয়।
২) বেদানা: প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে বেদানায়। ফলে দেহের শক্তি বাড়ে, অনুচক্রিকার সংখ্যা বাড়াতেও সাহায্য করে এটি।
৩) দই: ডেঙ্গি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই দৈনন্দিন খাবারে এই সময়ে দইয়ের মতো প্রোবায়োটিক রাখা জরুরি। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, শরীর ডিটক্সিফাই হতে সাহায্য করে।
৪) নারকেল জল: ডেঙ্গিতে জ্বরের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসাবে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। তাই এই সময় ডাব বা নারকেলের জল খেতে হবে। এতে দেহে জলের ঘাটতিও মেটাবে, আবার পুষ্টিগুণ ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইটে সমৃদ্ধ এই নারকেলের জল দৈহিক শক্তিও বাড়াবে।
৫) ব্রকোলি: ব্রকোলিতে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন কে, যা অনুচক্রিকা পুনরুৎপাদনে সাহায্য করে। অন্যান্য পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ ব্রকোলি। এই সময়ে রোজের ডায়েটে এই সব্জি রাখতেই হবে।
৬) কিউয়ি: চিকিৎসকদের মতে ডেঙ্গি হলে কিউয়ি ফল খাওয়া খুব স্বাস্থ্যকর। এই ফল রক্তে অনুচক্রিকার মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy