তীব্র দাবদাহে কেমন হবে শিশুর রোজকার ডায়েট? —ফাইল চিত্র।
রাজ্য জুড়ে চড়ছে পারদ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে যাচ্ছে। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ ছোট থেকে বড় সকলেই। প্রাপ্তবয়স্কেরা শরীরের বিষয় খানিকটা সচেতন হলেও ছোটরা এই সময় চট করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাজ্য সরকার গরমের কারণে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি এগিয়ে আনলেও এখনও বেসরকারি স্কুলগুলি খোলা। গরমে অত্যধিক ঘাম, বমি বা ডায়েরিয়ার মতো রোগ হলে শরীর থেকে বেশি পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। তখন নানা ভাবে শরীর জানান দেয় যে, ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন আপনি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমরা সেগুলি বুঝতে পারি না। শিশুদের ক্ষেত্রে আরও বেশি সমস্যা বাড়ে। গরমে শিশুদের খাবার হজম করতে অসুবিধা হয়, তারা নানা রকম পেটের সংক্রমণে ভোগে। আর তাতেই হয় বিপত্তি। এই সময় শিশুকে সুস্থ রাখতে তাদের ডায়েটের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে অভিভাবকদের। এই সময় শিশুদের স্কুলের টিফিন কী দেবেন, দুপুরেই বা কী খাওয়াবেন, সন্ধ্যায় টিউশনে যাওয়ার আগেই বা কী খাওয়াবেন— আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন পুষ্টিবিদ পম্পিতা বন্দোপাধ্যায়।
এই সময় অধিকাংশ শিশুর ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়। সেই দিকটাতেই বাবা-মায়েদের বেশি করে নজর দিতে হবে। পম্মিতা বলেন, ‘‘এই সময় বাচ্চারা যেন দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার জল খায়, সে দিকটায় নজর দিতে হবে। খুব সহজেই হজম হয়ে যায় এমন খাবার রাখতে হবে ডায়েটে। এই সময় বাচ্চাদের জোর করে খাওয়াবেন না।
বার বার অল্প অল্প করে খাবার খাওয়াতে হবে খুদেদের। রেস্তরাঁর খাবার কিংবা ভাজাভুজি এই সময় বাচ্চাদের দেওয়া চলবে না। অনেক শিশুই বাড়ির তৈরি হালকা-পাতলা খাবার খেতে চায় না, সে ক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের বাড়িতেই অল্প তেলমশলা দিয়ে বানানো খাবার টিফিনে দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেট থেকে মজাদার, স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু রেসিপির সাহায্য নিতেই পারেন তাঁরা।’’
গরমে কেমন হবে শিশুর রোজকার ডায়েট?
১) সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জল খাওয়াতে হবে।
২) স্কুলে পাঠানোর আগে খুদেকে কোনও রকম তেল-মশলাদার খাবার খাওয়ানো যাবে না। কোনও রকম ভাজাভুজিও দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে দুধ-কর্নফ্লেক্স, চিঁড়ে-লেবু জল, দই-চিঁড়ে, ডিম সেদ্ধ, আলু সেদ্ধ দিয়ে ভাত খাওয়ানো যেতে পারে।
৩) স্কুলে একটা নয়, দু’টি জলের বোতল দিয়ে পাঠাতে হবে। একটায় জল থাকবে আর আর একটিতে থাকবে গ্লুকোজ় জল।
৪) টিফিনে রোজ অবশ্যই ফল দিতে হবে। টিফিনে রোল, চাউমিনের মতো ভাজাভুজি দেওয়া চলবে না। এ ক্ষেত্রে চিঁড়ের পোলাও, উপমা, বাড়িতে বানানো স্যান্ডুইচ দিতে পারেন।
৫) বাড়িতে ফেরার পর একেবারে হালকা-পাতলা খাবার দিতে হবে। খাওয়ানোর পর এক বাটি দই অবশ্যই খাওয়াতে হবে।
৬) সন্ধ্যাবেলায় সুজি, চিঁড়ে, মাখানার মতো খাবার দেওয়া যেতে পারে।
৭) রাতে ঘরোয়া ভাত, ডাল, সব্জি, মাছ বা চিকেন খাওয়ানো যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy