প্রতীকী ছবি।
দিনভর সব কাজ ঠিক ভাবে করতে গেলে সবচেয়ে জরুরি হল আট ঘণ্টা নির্বিঘ্ন ঘুম। কারও তার চেয়ে সামান্য বেশি, কারও বা অল্প কম প্রয়োজন। মূলত তা নির্ধারিত হয় বয়সের ভিত্তিতেই।
ঠিক যে ভাবে শরীরের খাদ্য ও জল প্রয়োজন, তেমনই দরকার ঘুম। কয়েক রাত না ঘুমোলেই যে অসুস্থ হয়ে পড়বেন, এমন নয়। কিন্তু মস্তিষ্ক এক ভাবে সচল নাও থাকতে পারে। কাজের সময়ে অনেক কিছুই গুলিয়ে যায়। মন দিয়ে কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে। সমস্যা হয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও। চলাফেরা করার সময়ে দুমদাম পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, দিনের পর দিন ঘুমের অভাব ঘটলে।
অন্য দিকে, নিয়ম করে ঘুমোলে সে সব সমস্যার অনেকটাই দূরে থাকে। ফলে ঘুমের নিয়মে কোনও রকম গোলমাল দেখা দিলে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়াই ভাল।
তবে কম ঘুমেরও নানা ধরন আছে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এ হল সাময়িক অসুবিধা। হয়তো পরপর কয়েক দিন কম ঘুম হল। পরে আবার ঠিক হয়ে গেল। এ ক্ষেত্রে কিছু দিনের জন্য ঘুমের সময় কমে যায়।
কিন্তু কম ঘুমই কারও ক্ষেত্রে অভ্যাসে পরিণত হয়। অসুখ তখন জটিল আকার নেয়। মাস তিনেকেরও বেশি সময় যথেষ্ট ঘুম ছাড়া চলতে থাকে শরীর। ফলে তার প্রভাব পড়ে রোজের কাজে। খাওয়াদাওয়া থেকে মনের অবস্থা, সবই এর ফলে প্রভাবিত হয়। এমন ক্ষেত্রে অনেকেরই কিছু ক্ষণ বিশ্রামের পরে ঘুম ভেঙে যায়। তার পরে আর সারা রাত দু’চোখের পাতা এক হয় না।
এমন অসুখের প্রভাব শরীরের উপরে নানা ভাবে পড়ে। যেমন—
১) ক্লান্তি: সারা দিন ঝিমিয়ে থাকেন কেউ কেউ। কোনও কাজে মন যায় না। সকাল থেকেই মনে হয় বিশ্রাম প্রয়োজন।
২) ওজন: দিনের পর দিন কম ঘুমোলে যে ওজন বাড়ে, তা অনেকেরই অজানা। আসলে ঘুমের নিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন হর্মোনের ওঠা-নামা। তার উপরে নির্ভর করে খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছা। কর্মশক্তিও। কম ঘুমের জেরে সব গোলমাল হয়ে গিয়ে ওজন বাড়ে কারও কারও।
৩) মেজাজ: মনের ভাব ক্ষণে ক্ষণে বদলে যায় এর কারণে। কখনও ইচ্ছা হয় কাজে বসতে, কিন্তু তার পরেই হয়তো ঘিরে ধরে এক রাশ বিরক্তি। সংসারের কোনও কিছুই হয়তো ভাল লাগে না। আবার কিছু ক্ষণ পরে তা নিয়ে মন খারাপও হয়।
রোজের জীবনে এই সমস্যার প্রভাব পড়ে অনেকটাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy