প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
তিরিশ পেরোলে মেয়েদের শরীরে নানা রকম বদল আসা শুরু করে। তাই স্বাস্থ্য সম্পর্কে বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। শরীরচর্চা, খাওয়া-দাওয়া, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের দিকে যেমন নজর দেওয়া প্রয়োজন, তেমনই ৩০ বছরে বয়স পেরিয়ে গেলে সব মেয়েরই কিছু শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে রাখা উচিত। সেগুলি কী, জেনে নিন।
জরায়ুতে ক্যানসারের পরীক্ষা
নিময়িত প্যাপ স্মিয়ার’এর মাধ্যমে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের জরায়ু পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত। ক্যানসারের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তাতে আভাস পাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি ৩০ বছরের পর এইচপিভি পরীক্ষা করেও দেখা যায় ক্যানসারের ঝুঁকি কতটা রয়েছে।
ম্যামোগ্রাম
যাঁদের শরীরের ব্রাকা ১ এবং ব্রাকা ২ মিউটেশন রয়েছে তাঁদের স্তনের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই ৩০ বছরের পর থেকেই প্রত্যেক বছর একবার করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা এবং স্তনের এমআরআই স্ক্যান করিয়ে নেওয়া উচিত। তবে অন্য মেয়েদেরও ৪৫ বছর বয়সের পর বছরে একবার করো ম্যামোগ্রাম করানো উচিত।
গর্ভধারণের জন্য কিছু পরীক্ষা
৩০ বছর বয়সের পর মেয়েদের শরীরে ডিম্বাণু উৎপাদনের ক্ষমতা একটু একটু করে কমতে থাকে। তিরিশের শেষের দিকে গিয়ে তা অনেকটাই কমে যায়। তাই আপনি যদি মনে করেন, একটু বেশি বয়সে মা হবেন, তা হলে একজন স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু পরীক্ষা করিয়ে যাচাই করে নিন, সন্তানধারণের ক্ষমতা আপনার কতটা। মাতৃত্ব পরিকল্পনা করার আগে অবশ্যই কিছু শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে দেখে নিতে হবে শরীরে কোনও রকম সমস্যা রয়েছে কি না।
লিপিড প্রোফাইল
সুস্থ জীবন থাকতে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এবং শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। সব ঠিক আছে কি না দেখা জন্য লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।
থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট এবং হিমোগ্রাম
অনেক মেয়ের মধ্যে অ্যানিমিয়া এবং থাইরয়েডের মতো অসুখের কোনও রকম উপসর্গ দেখা যায় না। কিন্তু পরীক্ষা করালে এই অসুখগুলি ধরা পড়ে। আপনার হিমোগ্লোবিন কতটা এবং থাইরয়েড প্রোফাইল কী রকম জানা থাকলে, এই রোগগুলি সহজেই ধরা পড়বে এবং চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy