জলে চিয়া ভিজিয়ে অন্তত আধ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।
পুষ্টিবিদ থেকে ফিটনেস প্রভাবীরা— সকলেই যেন ইদানীং চিয়া সিড খাওয়ার উপদেশ দিচ্ছেন! ওট্সের সঙ্গে চিয়া সিড, দইয়ের সঙ্গে চিয়া সিড, চিয়া সিড পুদিং, আইসক্রিমে চিয়া সিড, যে দিকে তাকাবেন, স্বাস্থ্য সম্মত খাবার মানেই যেন চিয়া সিডের উল্লেখ করা আবশ্যিক! চিয়া বীজে এত ধরনের পুষ্টগুণ রয়েছে যে এই খাবারকে ‘সুপারফুড’এর অ্যাখ্যা দিয়েছেন অনেকেই।
চিয়া সিড নিয়ে হইচই এত বেশি যে দামও বেড়েছে তড়তড়িয়ে। ফ্ল্যাক্সসিড বা অন্যান্য বীজের তুলনায় চিয়ার দাম অনেকটাই বেশি। তাই সাধারণ মধ্যবিত্তের কিনতে খানিক গায়ে লাগে বইকি। কিন্তু কী আর করার? ওজন কমানোর যে কোনও আলোচনায় যে বারবার চিয়ার কথা ঘুরে ফিরে আসে। অগত্যা বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে সুপারমার্কেটে চিয়ার খোঁজে ছোটা। কিংবা অনলাইন বিপণিতে মাউজের ক্লিক।
কতটা কার্যকর
এত টাকা খরচ করতে রাজি আছেন যখন, তখন জেনে নেওয়া ভাল, চিয়া আদৌ কতটা সাহায্য করে ওজন কমাতে।
সরাসরি মেদ ঝরার সঙ্গে চিয়ার বীজের কোনও রকম বৈজ্ঞানিক যোগসূত্র এখনও পাওয়া যায়নি। ব্রাজিলে এক সমীক্ষা দেখায় গিয়েছিল কিছু মহিলা যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই চিয়া সিড নিয়মিত খাওয়ায় পর সুফল পেয়েছেন। কিন্তু সেই সমীক্ষা অন্তত ছোট পরিসরে করা এবং খুব দীর্ঘমেয়াদিও নয়।
তবে চিয়ার যে নানা রকম পুষ্টিগুণ রয়েছে, তা নিয়ে কোনও রকম সন্দেহ নেই। যেহেতু চিয়ায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, চিয়া ভিজানো জল খেলে অনেক বেশিক্ষণ পেট ভরতি থাকবে এবং বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে। নেটমাধ্যমে এক প্রভাবী জানিয়েছিলেন প্রত্যেকদিন তিনি খাবার খাওয়ার আগে এক টেবিল চামচ চিয়া সিড জলে গুলে সেই জল খেয়েছিলেন। তাতে পেট ভরতি হয়ে যাওয়ায় খেতে বসে বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
কী ভাবে বানাবেন
জলে চিয়া সিড অন্তত আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে সেটা ফুলে একটু জেলের মতো আকার নেবে। তখন জল পান করতে পারেন। তবে শুধু জলে খেতে ইচ্ছা না করতে শরবত বা স্মুদির মধ্যেও চিয়া বীজ খাওয়া যায়। শুকনো চিয়া বীজও স্যালাজ বা ওট্সের উপর ছড়িয়ে খেতে পারেন। তবে গলায় আটকে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy