প্রতীকী ছবি।
অতিমারিতে মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি যৌনস্বাস্থ্য নিয়েও সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। নারী-পুরুষ দুইয়ের ক্ষেত্রেই যৌনরোগের আশঙ্কা সমান। তবে কিছু রোগের উপসর্গ মারাত্মক হয়ে গেলে মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে উঠতে পারে। যে কোনও যৌনরোগ যৌন সংযোগের মাধ্যেমে সংক্রমিত হতে পারে। ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস বা প্যারাসাইট দ্বারা এই রোগগুলি মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়।
কিছু কিছু যৌনরোগ শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি করতে পারে, এমনকি বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কাও বাড়তে পারে। সিফিলিসের মতো রোগের ক্ষেত্রে ভ্রুণেরও কিছু ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোন যৌনরোগগুলি এ ক্ষেত্রে মারাত্মক জেনে নিন।
ক্ল্যামিডিয়া
ব্যাকটিরিয়া-জাত এই যৌনরোগের আধিক্য ছেলে-মেয়ের দুইয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি। বেশির ভাগ মেয়েদের কৌশরেই এই রোগ হয় এবং উপসর্গহীন হয়ে থাকে। এতে পেলভিক অংশে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। যার ফলে মেয়েদের সন্তানধারনে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সন্তানসম্ভবা মেয়েদের ক্ষেত্রে ক্ল্যামি়ডিয়া সন্তানের শরীরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গনোরিয়া
এই যৌনরোগের কোনও রকম উপসর্গ দেখা দেয় না এবং ক্ল্যামিডিয়ার মতোই এই রোগেরও বাড়বাড়ন্ত। মেয়েদের ক্ষেত্রে ঋতুচক্রের মাঝামাঝি ‘স্পটিং’ দেখা দিতে পারে। প্রস্রাবের সময়ে জ্বালাভাব, এবং অস্বাভাবিক ‘ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ’ হতে পারে। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে এই রোগ জরায়ু এবং ফ্যালোপিয়ন টিউবেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এবং ‘টিউবাল প্রেগন্যান্সি’র আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ উপসর্গহীন হলেও কয়েকজন প্রস্রাবের সময় জ্বালাভাব অনুভব করতে পারেন।
হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়ান্সি ভাইরাস (এইটআইভি)
এইচআইভি গুরুতর রোগ হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যাঁরা এইচআইভি পজিটিভ তাঁদের এড্স (অ্যাক্যুয়ার্ড ইমিউনো ইমিউনোডেফিসিয়ান্সি সিন্ড্রোম) থাকে। যার ফলে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তবে আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানধারণ এই রোগ আক্রান্ত মেয়েদের জন্য সুরক্ষিত বিকল্প।
হার্পিস
হার্পিসে সাধারণত যৌনাঙ্গের চারপাশে চুলকানি, ফোলাভাব এবং ব্যথা দেখা যায়। যৌন সংযোগে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগ সম্পূর্ণ ভাবে সারানো না গেলেও চিকিৎসায় রোগের উপসর্গগুলি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং সংক্রামণ যাতে ছড়িয়ে না পরে, তা-ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এই রোগের ফেল ছেলেদের শুক্রাণু কমে যেতে পারে। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে সন্তানের জন্মের সময়ে এই রোগ সন্তানের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কী করবেন
১। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করান।
২। ওষুধের কোর্স সম্পূরণ করতে হবে যাতে ফের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে।
৩। যৌনরোগ বহু বছর মানুষের শরীরে থেকে যেতে পারে। তাই বছরে একবার করে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভাল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy