সিটি ভ্যালুর সঠিক অর্থ কী? ছবি: সংগৃহীত
কোভিড স্ফীতিতে চিকিৎসকরা বারংবার পরামর্শ দিচ্ছেন ন্যূনতম উপসর্গেও কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার। আর কোভিড নির্ণয়ে শেষ কথা আরটিপিসিআর পদ্ধতি। অনেকেই খেয়াল করেছেন আরটিপিসিআর পরীক্ষায় যে মানটির উপর ভিত্তি করে কোভিড সংক্রমণ চিহ্নিত করা হয় সেটি হল সিটি ভ্যালু বা সিটি মান। কিন্তু জানেন কি এটি আদতে কী?
সিটি ভ্যালুর পুরো কথাটি হল, সাইকেল থ্রেশহোল্ড। আসলে নমুনা সংগ্রহের পর আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে নমুনার অন্তর্গত জিনগত উপাদানগুলির পরীক্ষা করা হয়। একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নমুনার থেকে প্রাপ্ত আরএনএ-কে রূপান্তরিত করা হয় ডিএনএ-তে। এরপর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চক্রাকারে এই ডিএনএ-র প্রতিলিপি তৈরি করা হয়। এক একটি চক্রে ডিএনএ-র সংখ্যা এক থেকে দুই, দুই থেকে চার, এই ভাবে বৃদ্ধি পায়। এই রকম যতগুলি চক্রের পর ভাইরাসের ডিএনএ খুঁজে পাওয়া গেল সেটিই হল সিটি মূল্য।এই মূল্যায়ন করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রোগী কোভিড আক্রান্ত কি না
আইসিএমআরের নির্দেশ অনুযায়ী ৩৫টি চক্রের মধ্যেই যদি ভাইরাসের জিনগত উপাদান খুঁজে পাওয়া যায় তবে ধরে নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত। এই কারণেই সিটি মান ৩৫এর কম হলে কোভিড পজিটিভ ধরা হয়। ৩৫টি চক্রের পরেও যদি ভাইরাসের জিনগত উপাদান না পাওয়া যায় তাহলে ধরে নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরে কোভিডের উপস্থিতি নেই। তত্ত্বগত ভাবে ভাইরাল লোড যত বেশি হয়, এই মান তত কম হয়। অর্থাৎ নমুনায় ভাইরাসের জিনগত উপাদান যত বহুল হবে তত কম সংখ্যক চক্রেই মিলবে ভাইরাসের জিনগত উপাদান।
তবে এই মান নিয়ে একটি প্রচলিত ধারণা হল, সিটি ভ্যালু যত কম, হবে ততই বুঝি বেশি হবে কোভিডের তীব্রতা। এই ধারণা সঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরে কোভিডের প্রভাব কতটা তীব্র হবে তা এই মান দেখে বলার সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy