বাড়িতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার পদ্ধতি ছবি: সংগৃহীত
গোটা দেশ জুড়েই লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ চিহ্নিত করতে বিশেষজ্ঞদের দাওয়াই আরও বেশি সংখ্যক কোভিড পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই উপসর্গ যুক্ত ব্যক্তি ও সদ্য কোভিড আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তিদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর।
মূলত তিন রকম পদ্ধতিতে কোভিড পরীক্ষা হচ্ছে। আরটি পিসিআর, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষা। এর মধ্যে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় চিহ্নিত করা হয় ভাইরাসের দেহের প্রোটিন। বাজার থেকে কিট কিনে এনে বাড়িতেই করা যেতে পারে চটজলদি এই পরীক্ষা। কিন্তু কী ভাবে এই পরীক্ষা করতে হয় সেটি জানেন না অনেকেই।
পদ্ধতি
১। সরাসরি ওষুধের দোকান থেকেই কিনে নিতে পারেন র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট। পরীক্ষা শুরুর আগে ভাল করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে হাত।
২। শুকনো হাতে প্যাকেট খুলে একে একে বার করুন যাবতীয় সামগ্রী। সাধারণত এতে একটি তরল পূর্ণ টিউব, একটি নমুনা সংগ্রহের কাঠি, ব্যবহারের নিয়মাবলী, একটি পরীক্ষার কার্ড ও আবর্জনা ফেলার ব্যাগ থেকে।
৩। তরল পূর্ণ ছোট টিউবটি এক হাতে নিয়ে অল্প করে দু-একটি টোকা দিয়ে অভ্যন্তরীণ তরল ঝাঁকিয়ে নিন। আলতো চাপে খুলে নিন ঢাকনা।
৪। অন্য হাতে নমুনা সংগ্রহের কাঠিটি নিয়ে নিন। খেয়াল রাখুন শ্লেষ্মা সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত শোষক দ্রব্যের টুকরোটিতে যেন হাত না লাগে।
৫। এ বার ওই অংশটি সাবধানে নাকের ভিতরে ঢোকান। দুই থেকে চার সেন্টিমিটার নাকের ভিতরে প্রবেশ করান।
৬। নাকের ভিতর বাধা অনুভব করলে এ বার ধীরে ধীরে কাঠিটিকে অন্তত পাঁচ বার ঘুরিয়ে নিন, যাতে নাকের ভিতরের শ্লেষ্মা জাতীয় তরলে ভাল করে ভিজে যায় নমুনা সংগ্রহের অংশটি। দুটি নাসিকা রন্ধ্রেই একই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
৭। নমুনা সংগ্রহের প্রান্তটি ভিজে গেলে আগে থেকে অন্য হাতে রাখা তরলের টিউবটির মধ্যে ভরে দিন।
৮। কাঠিটির অতিরিক্ত অংশ ভেঙে নমুনা সংগ্রহের অংশটি সহই আটকে দিন টিউবের ছিপি।
৯। ছোট্ট কয়েকটি টোকা দেওয়ার পর, টিউবে চাপ দিয়ে দুই ফোঁটা তরল পরীক্ষার কার্ডের নির্দিষ্ট ছিদ্রে ফেলুন।
১০। ঘড়ি দেখে ১৫ মিনিটের মাথায় দেখুন কার্ডে কটি দাগ দেখা যাচ্ছে।
১১। যদি শুধু সি দাগটি দেখা যায় তা হলে পরীক্ষার ফল নেগেটিভ, কিন্তু সি ও টি দুটি দাগ দেখা গেলে বুঝতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত।
মাথায় রাখবেন প্রতিটি কিটে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ফল এলে বুঝতে হয় পরীক্ষাটি সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয়নি। এই সময়টি যাচাই করে নিতে হবে নিয়মাবলী লেখা কাগজ থেকেই। অনেক কিট প্রস্তুতকারক সংস্থার নিজস্ব অ্যাপ থাকে যেখানে টেস্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিতে হতে পারে। পরীক্ষার পর যাবতীয় সামগ্রী নির্দিষ্ট থলেতে ভরাই বাঞ্চনীয়। তবে এই সব কিছুর থেকে বড় কথা, র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় কোভিড পজিটিভ আসা মানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিশ্চিতরূপে কোভিড আক্রান্ত, কিন্তু উল্টোটা সব সময় সত্যি নাও হতে পারে। র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় নেগেটিভ আসা মানেই পরীক্ষিত ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত নন এমনটা নিশ্চিত হয়ে বলা চলে না। উপসর্গ থাকলে করতেই হবে আরটি পিসিআর পরীক্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy