ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে সাবধান থাকুন। ছবি: সংগৃহীত।
মানিব্যাগ, টুকিটাকি প্রসাধনী, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, রোদচশমা— মেয়েদের ব্যাগ হাতড়ালে মোটামুটি এই জিনিসগুলি পাওয়া যাবেই। তবে শুধুই কি এগুলি? সিংহভাগ মহিলার ব্যাগে এই জিনিসগুলির সঙ্গেই থাকে ফেশিয়াল ওয়াইপ্স। নিয়মিত বাইরে বেরোতে হলে, ব্যাগে ওয়েট টিস্যু রাখা ভীষণ জরুরি। অনেক সময়ে অফিসে হাতের কাজ ফেলে রেখে মুখ ধুতে যাওয়ারও সময় হয় না। তখন ওয়াইপ দিয়ে মুখ মুছে নিলে ক্লান্তি খানিকটা দূর হয়। আবার মেকআপ তোলার ক্ষেত্রেও এই ওয়াইপ ব্যবহার করেন অনেকে। প্রথমে ওয়েট টিস্যু দিয়ে মেকআপ তুলে তার পর ক্লিনজ়ার, ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ থাকে। বিভিন্ন সমীক্ষা জানাচ্ছে, অতিমারির পর ওয়েট টিস্যুর ব্যবহার অনেক বেড়ে গিয়েছে। ওয়েট টিস্যুর ব্যবসা অর্থনৈতিক ভাবেও ফুলফেঁপে উঠছে। বাণিজ্যিক অঙ্ক বলছে, বর্তমানে ভারতে ওয়েট টিস্যুর ব্যবসায় বার্ষিক মুনাফা ৭৪৪ কোটি। অনুমান করা হচ্ছে, আগামী ২ বছরের মধ্যে এই অঙ্কটা বেড়ে দাঁড়াবে ২,১১৫ কোটিতে।
দেশব্যাপী ওয়েট টিস্যুর এই বিপুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও একটি প্রশ্ন বারে বারেই উঠে আসছে। ত্বকের জন্য কি আদৌ ভাল এই প্রসাধন সামগ্রী? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই টিস্যুতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা ত্বকের ভিতর থেকে ময়লা টেনে আনে। টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে নেওয়ার পর চটজলদি একটা বদল লক্ষ করা যায়। সেই কারণেই এই টিস্যু ব্যবহারের দিকে ঝুঁকেছেন মহিলারা। তবে সাবধানের মার নেই। চর্মরোগ চিকিৎসকেরা এটাও জানাচ্ছেন, ওয়েট টিস্যু কেনার আগে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ অনেক সংস্থার ওয়েট টিস্যুতে আবার রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। প্যাকেটের গায়ে টিস্যুতে থাকা উপাদানের তালিকা থাকে। কেনার আগে সেই তালিকায় এক বার চোখ বুলিয়ে নেওয়া জরুরি। ওয়েট টিস্যু কেনার আগে কোন বিষয়গুলি দেখে নেবেন, জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
১) টিস্যু কেনার আগে দেখে নিন তাতে অ্যালো ভেরা, ভিটামিন সি কিংবা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড আছে কি না। এই উপাদানগুলি ত্বকে আর্দ্রতা জোগাবে। ত্বক অনেক সতেজ এবং চনমনে লাগবে।
২) অ্যালকোহল আছে এমন ওয়েট টিস্যু কখনও কিনবেন না। অ্যালকোহল ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া অ্যালকোহল ত্বকের শুষ্কতারও কারণ।
৩) ওয়েট টিস্যুতে হালকা গন্ধ মন্দ নয়। তবে তীব্র গন্ধযুক্ত কোনও টিস্যু একেবারেই কিনবেন না। এতে ত্বকে অস্বস্তি হতে পারে। এমনকি ব্ল্যাকহেড্স বা হোয়াইটহেড্সের মতো সমস্যার ঝুঁকিও থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy